যুক্তরাজ্যের নতুন চ্যান্সেলর রাচেল রিভস তার প্রথম বহু-বছর মেয়াদি ব্যয় পর্যালোচনায় বড় ধরনের অর্থনৈতিক রূপরেখা ঘোষণা করেছেন, যেখানে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে আশ্রয়প্রার্থীদের হোটেল ব্যবস্থার অবসান, শিশু দারিদ্র্য হ্রাস এবং অবকাঠামো ও স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক বিনিয়োগের।
সংসদে বুধবার বাজেট ঘোষণা করতে গিয়ে রিভস বলেন, “এই বাজেট ব্রিটেনের পুনর্গঠনের জন্য।”
বাজেটে প্রধান ঘোষণাগুলোর মধ্যে রয়েছে—
*পরবর্তী নির্বাচনের আগেই অভিবাসীদের জন্য আশ্রয় হোটেল ব্যবস্থা বন্ধ করা হবে।
*আশ্রয় ব্যাকলগ কমানো ও যাদের থাকার অধিকার নেই তাদের ফিরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে বছরে £১ বিলিয়ন সাশ্রয়ের পরিকল্পনা।
*স্বাস্থ্য খাত, পারমাণবিক শক্তি, প্রতিরক্ষা ও শহরাঞ্চলের পরিবহন ব্যবস্থায় বড় বিনিয়োগ।
*সামাজিক আবাসন ও বিনামূল্যে স্কুল মিল সম্প্রসারণ।
রিভসের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে সেভ দ্য চিলড্রেন বলেছে, “চ্যান্সেলর প্রমাণ করেছেন তিনি শিশু দারিদ্র্য কমাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” তবে তারা দুই-সন্তান বেনিফিট সীমা বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেছে, এটি না করলে সকল শিশু সমান সুযোগ পাবে না।
অন্যদিকে লিবারেল ডেমোক্র্যাট নেতা ডেইজি কুপার বলেছেন, শুধু NHS-এ অর্থ ঢাললেই হবে না, সামাজিক সেবা এবং ইউরোপের সঙ্গে গভীর বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন জরুরি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বড় প্রতিশ্রুতির আড়ালে কিছু “তীব্র ছাড়ের প্রয়োজনীয়তা” রয়েছে, এবং পূর্বাভাস ভুল হলে অতিরিক্ত কর বাড়ানোর ঝুঁকি রয়ে গেছে।
রাচেল রিভসের বাজেট কিছু সাহসী পদক্ষেপের প্রতিচ্ছবি হলেও বাস্তবায়নে কঠিন চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে জানান বিশ্লেষকেরা। নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি পূরণে এখন সরকারের সামনে সক্ষমতার কঠোর পরীক্ষার সময়।
সূত্রঃ দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট
এম.কে
১১ জুন ২০২৫