6.8 C
London
November 22, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

যুক্তরাজ্যে রাজতন্ত্রের প্রতি উষ্মা প্রকাশ করেছেন সাধারণ জনগণ

ব্রিটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর সারা পৃথিবীর মানুষ শোক প্রকাশ করে রাণীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে। সেই সঙ্গে সার্বিকভাবে রাজপরিবারের প্রতিও সমর্থন জানিয়েছেন অনেকে। শোকাহত ব্রিটিশ রাজপরিবারের প্রতি বহু মানুষের সহানুভূতি থাকলেও, ব্রিটেনের সব মানুষ কিন্তু একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে রাজতন্ত্রের পক্ষে নয়।

ব্রিটেনের রাজতন্ত্র গত প্রায় এক হাজার বছর ধরে তাদের শাসন চালু রেখেছে। ব্রিটেনে রাজা বা রানির বেশ কিছু সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করতে হয়। যেমন পার্লামেন্টের তৈরি আইনে সই করা, প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করা এবং পার্লামেন্টের অধিবেশন ডাকা। কিন্তু রাজতন্ত্রের অনেক ক্ষমতাই এখন খর্ব করা হয়েছে।

গত কয়েক বছরে রাজপরিবারের পেছনে ব্রিটেনের করদাতাদের সর্বোচ্চ পরিমান অর্থ খরচ করা হয়েছে। রাজপরিবারের পেছনে ব্যয় করা এই অর্থকে বলা হয় ‘রাজকীয় মঞ্জুরি’,। বাকিংহাম প্রাসাদের সাম্প্রতিক সংস্কার এবং প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেলের সাবেক নিবাস ফ্রগমোর কটেজের উন্নয়ন কাজও এই তহবিলের অর্থ দিয়ে করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার একদল লোক রাজপরিবারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে দিতে ওয়েস্টমিনস্টারের পাশে ভীড় করে। তারা প্রত্যেকের হাতে ব্যানার ধরা ছিল যেখানে লেখা, ” তুমি আমাদের রাজা নও”। রাজা কিং চার্লসের বিরুদ্ধে এই শ্লোগান রাজাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। রাজা ও রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ নিয়ে লোকজন জড়ো হয়। তারা রাজার বিরুদ্ধে অপরিবর্তিত তেল ও গ্যাস নীতির কারণে অভিযোগ আনে। তাদের মতে এইসব সিদ্ধান্ত পরিবেশ বিপর্যয় নিয়ে আসবে কিন্তু রাজা পাপেটের ভুমিকায় অবতীর্ণ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বিক্ষোভকারী বলেন, “এদেশের বেশিরভাগ লোকেরা গণতন্ত্র, সাম্যতা, জবাবদিহিতা এবং আরও অনেক কিছুতে বিশ্বাস করে। রয়্যাল পরিবার দৃঢ়ভাবে আমাদের মূল্যবোধের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান সময়ে রাজতন্ত্র অচল, তাছাড়া রাজতন্ত্রের সাথে উপনিবেশবাদের একটা শক্ত সম্পর্ক আছে। ”

উল্লেখ্য যে, রাজ্যাভিষেকের পর থেকে রয়্যাল সার্ভিসের লোকেদের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। তথ্যানুযায়ী দেখা যায় রাজ পরিবারে ব্যয়ের হার অনেক বেশি। বর্তমান অর্থনৈতিক দৈন্যতার সময় জনসাধারণ তাই ফুঁসে উঠছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাছাড়া কিং চার্লসের মৃত লোকেদের সম্পদ হাতিয়ে নেয়ার স্ক্যাম নিয়েও মানুষ রাজপরিবারের উপর সম্মান হারিয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান

এম.কে
২৮ নভেম্বর ২০২৩

 

আরো পড়ুন

উইন্ডরুশ কেলেঙ্কারী নিয়ে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর আক্ষেপ

যুক্তরাজ্যে সাংস্কৃতিক কর্মীদের ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার বাড়ছে আশঙ্কাজনকভাবে

বিলেতে বাড়ি কেনাবেচা: প্রপার্টি কনভিয়েনসিং