যুক্তরাজ্যে প্রতি মাসে গড় বাড়িভাড়া এক হাজার পাউন্ড ছাড়িয়ে গিয়েছে। বাড়ির দামও রেকর্ড ২ লাখ ৬০ হাজার পাউন্ডে উন্নিত হয়েছে। বাড়িভাড়ার ব্যয় এরই মধ্যে জীবনযাত্রার সংকটের মুখোমুখি হওয়া ব্রিটিশ পরিবারগুলোর উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করছে বলে খবরে জানা যায়।বাড়ি ভাড়ার তথ্য সরবরাহকারী সংস্থা হোমলেট এ
তথ্য জানিয়েছে।
পরিসংখ্যানের তথ্যানুযায়ী জানা যায়, লন্ডনের বাইরে সাধারণ ঘরভাড়া ২০২৪ সালের মে মাস অনুযায়ী মাসে ১,৩১৬ পাউন্ডে উন্নিত হয়েছে। রাইটমুভ জানিয়েছে লন্ডনের ভিতরে গড় বাড়িভাড়া ২,৬৫২ পাউন্ড বা এর কাছাকাছি যেখানে ইংল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ৮৯৪ পাউন্ডের মতো। লন্ডনের সাথে বাইরের শহরের বাড়িভাড়ার পার্থক্য প্রায় ৩ গুণ।
রাইটমুভ জানিয়েছেন, মে মাসে লন্ডন ও লন্ডনের বাইরের শহরে গড় ভাড়া গত এক বছরে প্রায় ৭% বৃদ্ধি পেয়েছে।
লন্ডনে ইতিমধ্যে ভাড়া বাড়ির সরবরাহ এবং চাহিদার মধ্যে ভারসাম্যহীনতা বার্ষিক ভাড়া বৃদ্ধির মূল কারণ।
রাইটমুভ যুক্তরাজ্যের পরবর্তী সরকারকে গৃহনির্মাণ ত্বরান্বিত করার পরামর্শ দিয়েছে। ভাড়াটেদের জন্য আরও বেশি বাড়ি সরবরাহের জন্য বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে যথাযথ সহায়তা করার আহ্বান জানিয়ে আসছে।
এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে বর্তমান চাহিদার ভিত্তিতে ভাড়া বৃদ্ধি বছরে প্রায় ২% হারে ঘটছে যা সাধারণ স্তরে ফেরত আনতে ১ লাখের বেশি নতুন বাড়ির প্রয়োজন।
রাইটমুভের প্রপার্টি বিশেষজ্ঞ টিম ব্যানিস্টার বলেন,
” বাড়িভাড়া করোনা কালীন সময়ে কিছুটা স্থিতিশীল ছিল যা মহামারীর পর হতে লাগামহীন ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ার মূল কারণ বসবাসের জন্য ঘরের অভাব। বর্তমানে বাজার ভারসাম্য অবস্থায় নেই।”
সরকারের সাম্প্রতিক হাউজিং সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বর্তমান সময়ে ভাড়াটিয়ারা তাদের পারিবারিক আয়ের ৩১ শতাংশ বাড়িভাড়ার ব্যয় মেটাতে খরচ করছেন।
দাতব্য সংস্থা শেল্টারের প্রচারাভিযান বিভাগের একজন মুখপাত্র বলেন, আবাসন ব্যয় বাড়ার ফলে ব্রিটিশদের অন্যান্য ব্যয় কমিয়ে ফেলতে হচ্ছে। যার ফলে বাজারে অসামঞ্জস্যপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে।
বেশির ভাগ মানুষের জন্যই বাড়ি ভাড়া বড় একটি
মাসিক খরচ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আমাদের জরুরি হেল্প লাইনে এমন লোকদের কাছ থেকে কলের পর কল আসছে, যারা এখনো বুঝে উঠতে পারছেন না কিভাবে পর্বতসম ভাড়া পরিশোধ করে টিকে থাকবেন।
নিম্ন আয়ের লোকেরা এমন কঠিন চাপে পড়ে যাচ্ছেন
যে বাড়ি ভাড়া দেয়ার পর তাদের হাতে কিছুই অবশিষ্ট
থাকছে না,এ অবস্থায় তারা এখন উচ্ছেদ ও গৃহহীন হওয়ার ঝুঁকির মুখে পড়েছেন।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
০৩ জুলাই ২০২৪