0.8 C
London
November 22, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

যুক্তরাজ্যে লেবার পার্টির প্রতি সমর্থন কমছে এশিয়ান ও কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টির কৃষ্ণাঙ্গ এবং এশিয়ান জনগোষ্ঠীর সমর্থন প্রায় এক তৃতীয়াংশ হ্রাস পেয়েছে বলে এক গবেষণায় জানা যায়।
আইপিএসওএসের তথ্য মোতাবেক দেখা যায় যে লেবার পার্টি ও কনজারভেটিভ পার্টি উভয় দলই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কৃষ্ণাঙ্গ এবং এশিয়ান ভোটারদের সমর্থন হারিয়েছেন। এই সমর্থকগোষ্ঠির অধিকাংশই গ্রীন পার্টি ও স্বতন্ত্রদের দিকে ঝুঁকছেন বলেও তথ্যে জানা যায়।
জাতিগত সংখ্যালঘু ভোটারদের ভোট জেরেমি কর্বিনের অধীনে ২০১৯ সালে গত সাধারণ নির্বাচনের সময় অনেকাংশে বেশি ছিল। যা স্যার কেয়ার স্টারমারের নেতৃত্বে অনেক হ্রাস পেয়েছে।
রেস ইক্যুয়ালিটি ফাউন্ডেশনের চিফ এক্সিকিউটিভ জাবির বাট বলেন, “ কেউ কেউ লেবার পার্টির দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন যদিও কনজারভেটিভ পার্টির ব্যর্থতার কারণে সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টি সরকার গঠন করতে সক্ষম হয়েছে। তবে লেবার পার্টির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা উচিত কারণ তারা কেবল এশীয় সম্প্রদায়ের কাছ থেকে অনেক ভোট হারিয়েছে। এর কারণ হিসাবে ফিলিস্তিনের গাজাবাসীর উপর অনৈতিক হামলায় লেবার পার্টির ভুমিকা নিয়ে ভোটাররা খুশি ছিল না।”
জিবিএল -এর এক মুখপাত্র বলেছেন, “অবাক হওয়ার মতো বিষয় নয় যে অনেক ভোটাররা লেবার পার্টি হতে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। কারণ হিসাবে বলা যায় লেবার পার্টির কার্যক্রমের উপর অনেক এশীয় ও কৃষাঙ্গ ভোটার খুশি নয়। ফিলিস্তিনের উপর হামলার সময় লেবার পার্টির ভুমিকা অনেককে আশ্চর্যান্বিত করেছে। তাই ভোটাররা গ্রিন পার্টি এবং উগ্রপন্থী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোট দিচ্ছেন।”
জিবিএলের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, “ইসরায়েলকে ব্রিটিশ অস্ত্র সরবরাহ করাও বন্ধ করা উচিত কারণ এই অস্ত্র নিরপরাধ লোকদের হত্যা করতে ব্যবহৃত হচ্ছে। ভোটাররা ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ হতে এই অস্ত্র সরবরাহ পছন্দ করছেন না। “
ইপসোসের একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও রাজনীতিবিদ গিদিওন স্কিনার বলেছেন,
“আমাদের জাতিগত সংখ্যালঘু ভোটারদের একক গোষ্ঠী হিসাবে ভাবা উচিত নয়। কেবল একটি ইস্যুকে কেন্দ্র করেও তারা নিজেদের সমর্থন প্রত্যাহার করেনি। রাজনৈতিক দিক নির্দেশনা ও অন্যান্য জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ছোট দলের ভুমিকা বড় দলগুলোর চেয়ে ভালো ছিল বিধায় ছোট দলগুলো ভোটারদের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছে।”
উল্লেখ্য যে, গত বছর একটি সাক্ষাৎকারে স্যার কেয়ার স্টারমার মন্তব্য করেছিলেন যে গাজায় পানি এবং বিদ্যুৎ সীমাবদ্ধ করা ইসরায়েলের অধিকারের মধ্যে রয়েছে। তিনি আরো বলেছিলেন ইসরায়েলের নিজেদের আত্মরক্ষা করার অধিকার রয়েছে।
সূত্রঃ দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট
এম.কে
৩০ জুলাই ২০২৪

আরো পড়ুন

রুয়ান্ডা প্রকল্পের অর্থ দিয়ে নজরদারি সরঞ্জাম কিনবে যুক্তরাজ্য

যুক্তরাজ্য আইআরপি প্রকল্পে নিবে শিক্ষক

বরিস জনসনের ওপর রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা