বার্মিংহামে এক সিরিয়ান অভিবাসনপ্রার্থীর হাতে ১২ বছর বয়সী এক মেয়ে নির্মমভাবে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। অভিযুক্ত মোহাম্মদ ওয়াহিদ মোহাম্মদ দাবি করেছে, মেয়েটি সম্মতি দিয়েছিল—যদিও যুক্তরাজ্যের আইনে ১৬ বছরের নিচে কোনো শিশুর যৌন সম্মতি দেওয়ার অধিকার নেই। আদালত অভিবাসী সিরিয়ান ধর্ষণকারীকে ১২ বছরের কারাদণ্ডের রায় প্রদান করে।
ঘটনাটি ঘটেছে বার্মিংহামের হ্যান্ডসওয়ার্থ এলাকার ভিলা সুপারমার্কেটে। মেয়েটি বাড়ি থেকে পালিয়ে একা বার্মিংহাম পৌঁছালে এক গৃহহীন নারী তাকে সাহায্য করে। পরে দোকানদার ওয়াহিদ তাকে ভেপ ও চিপস দিয়ে প্রলুব্ধ করে দোকানের ওপরের একটি কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে দরজা বন্ধ করে এক ঘণ্টা ধরে সে মেয়েটিকে বারবার ধর্ষণ করে।
মামলার প্রসিকিউটর অ্যান্ড্রু ওয়ালেস আদালতে বলেন, “ওয়াহিদ জানত মেয়েটির বয়স মাত্র ১২ বছর। তাকে রাস্তার বিপদ থেকে বাঁচানোর অজুহাত দেখিয়ে সে আসলে ধর্ষণের সুযোগ খুঁজছিল।” পরে এক টেইকওয়ের মালিকের সন্দেহ হলে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। তথ্যসূত্র মতে জানা যায় মেয়েটির নাম পুলিশের নিখোঁজ তালিকায় ছিল।
ওয়াহিদ গ্রেফতারের পর আদালতে কিছু অভিযোগ স্বীকার করে, কিন্তু দাবি করে যে মেয়েটি সম্মতি দিয়েছিল। তবে বিচারক রডেরিক হেন্ডারসন এটিকে সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করে তাকে “বিপজ্জনক অপরাধী” আখ্যা দেন। শাস্তি হিসেবে তাকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ওয়াহিদের পক্ষের আইনজীবী নিকোলাস ডেভিন জানান, তার ক্লায়েন্ট সিরিয়া থেকে আশ্রয়প্রার্থী এবং তার জীবন সংগ্রামময় ছিল। তবে বিচারক হেন্ডারসন বলেন, “তুমি মেয়েটির অসহায়ত্ব ও বয়সের দুর্বলতার সুযোগ নিয়েছ। এটি একটি নৃশংস অপরাধ।”
এই ঘটনায় স্থানীয় সম্প্রদায়ে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে। শিশু সুরক্ষা ও অভিবাসন নীতির প্রশ্নে পুনর্বিবেচনার দাবি তুলেছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
সূত্রঃ দ্য এক্সপ্রেস
এম.কে
২১ জুলাই ২০২৫