যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক দৈন্যদশার কারণে নানা ধরনের সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ফাঁস হওয়া নথিতে দেখা যায় হোম অফিসের কর্মীদের কমিয়ে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছেন জেরেমি হান্ট। যার কারণে
হোম অফিস রুয়ান্ডায় নির্বাসন, আশ্রয় প্রার্থীদের আটক ও প্রক্রিয়াকরণে নির্ঘাত পিছিয়ে যাবে বলে দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানা যায়।
অবৈধ মাইগ্রেশন অপারেশনস কমান্ডের (আইএমওসি) মহাপরিচালক স্টুয়ার্ট স্কিটস জানান, তার বিভাগকে চ্যান্সেলরের পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে কর্মীদের সংখ্যা কমিয়ে আনতে বলা হয়েছে। ঋষি সুনাকের
অভিবাসন নীতির বাস্তবায়নে এভাবে কর্মীদের ছেঁটে ফেলা হবে তা ছিল তার চিন্তারও অতীত।
চ্যান্সেলর জেরেমি হান্ট সরকারের সমস্ত বিভাগের কর্মচারীদের সামগ্রিক হেডকাউন্ট হ্রাস করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন বলে প্রতিবেদন হতে জানা যায়। এর অর্থ হ’ল প্রত্যেক বিভাগে একটি মনোনীত হেডকাউন্ট বাজেট থাকবে, সেই বাজেটে পৌঁছালে কর্মীদের সংখ্যা হ্রাস করতে হবে।
আইএমওসিতে বিভিন্ন শূন্য পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ওয়েবসাইট থেকে নামানো হয়েছে। ফাঁস হওয়া নথি প্রকাশ পাওয়ায় হোম অফিসের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি অনেক ঘোলাটে অবস্থায় রয়েছে। হোম অফিস অর্থ মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তে হতবাক হয়েছে বলে প্রতিবেদন হতে জানা যায়। এই ঘটনা তখন প্রকাশ্যে আসলো যখন কিগালির উদ্দেশ্যে প্রথম বিমান যাত্রা শুরুর প্রতীক্ষায় রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, আশ্রয়প্রার্থীদের প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসন আইন বাস্তবায়নের জন্য গঠিত আইএমওসি, যুক্তরাজ্য সরকারের রুয়ান্ডা প্রোগ্রাম বাস্তবায়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন ছিল। যা ছিল সুনাকের ” ইংলিশ চ্যানেল দিয়ে নৌকা বন্ধ করুন” কৌশলটির মূল ভিত্তি।
হোম অফিসের একজন মুখপাত্র বলেন, ” সমস্ত সরকারী বিভাগের মতো আমরা সর্বাধিক দক্ষতা দিয়ে দেশের জন্য কাজ করে যেতে চাই। করদাতাদের অর্থ যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে সকলের সর্বাধিক নজর দেওয়া উচিত। সিভিল সার্ভিসে সর্বোত্তম প্রতিভা ও দক্ষতা নিয়ে কাজ করতে সরকারের সকল বিভাগের কর্মচারী সবসময় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
১৫ মে ২০২৪