২০০০ সালে যুক্তরাজ্যের বাজারে বাংলাদেশ থেকে রফতানি হতো ৫০ কোটি ডলারের পণ্য। দুই যুগের ব্যবধানে ২০২২ সালে এসে দাঁড়ায় ৫০০ কোটি ডলারে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্যে রফতানি ১ হাজার ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। তবে এ জন্য প্রতিযোগিতামূলক বাজারে দেশটির চাহিদা অনুযায়ী পণ্যের মান রক্ষা ও বৈচিত্র্য নিয়ে আসতে হবে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে ব্র্যাক সেন্টার ইন এ রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টেকগ্রেশান ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড) আয়োজিত ‘যুক্তরাজ্যের বাজারে রফতানি সম্প্রসারণ এবং বৈচিত্র্যকরণ’ শীর্ষক অংশীজনদের মতবিনিময় অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
যুক্তরাজ্যের বাজারে রফতানি বাড়াতে বাংলাদেশের সক্ষমতা নিয়ে এ সময় আলোচনা করেন বক্তারা। তারা এলসির বিকল্প বাণিজ্য পদ্ধতি চালুর প্রয়োজনীয়তার তুলে ধরেন। এলসি পদ্ধতিকে ‘জটিল ও সময়সাপেক্ষ’ বলে অভিহিত করেন। একই সঙ্গে এর চেয়ে কম সময় ও কম খরচে এলসির বিকল্প আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পরিচালনা পদ্ধতি চালুর দাবি করেন।
এ দাবির বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, এখানে ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করা সবচেয়ে নিরাপদ। কারণ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য অনেক ধরনের জটিলতা ও ধোঁকাবাজির সুযোগ থাকে। সেটি যাতে না ঘটে তাই এলসি পদ্ধতি নিরাপদ বলে আমি মনে করি। তবে এলসির বিকল্প পদ্ধতিতে বাণিজ্যের চিন্তা আমার কাছে নতুন। বিষয়টি নিয়ে আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখব।