২০৫৫ সালের মধ্যে ইংল্যান্ডে দৈনিক পাঁচ বিলিয়ন লিটার পানির ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে পরিবেশ সংস্থা (Environment Agency)। বর্তমানে ব্যবহৃত পানির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে যদি এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়।
পানির এই ঘাটতির পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে দায়ী করা হয়েছে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং নতুন শিল্পখাত থেকে আসা বাড়তি চাপকে। বিশেষ করে জ্বালানি উৎপাদন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং প্রচুর পানি ব্যবহারকারী ডেটা সেন্টারগুলো ভবিষ্যতের পানি চাহিদা অনেক বাড়িয়ে তুলবে।
পরিবেশ সংস্থা জানিয়েছে, ভবিষ্যতের চাহিদা পূরণে সম্ভাব্য ঘাটতির ৬০ শতাংশ মোকাবিলা করতে হবে পানির কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে। যুক্তরাজ্য সরকার সঠিকভাবে পানির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ এবং স্মার্ট মিটার স্থাপনসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণে বাধ্য হতে পারে।
বাকি ৪০ শতাংশ পূরণ করতে প্রয়োজন হবে বড় পরিসরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন। এর অংশ হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে ১০টি নতুন জলাধার, ৯টি লবণাক্ত পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্ট এবং ৭টি পুনর্ব্যবহারযোগ্য পানি প্রকল্প গড়ে তোলা।
পানির সঙ্কট মোকাবিলায় জনগণকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। পানি সাশ্রয়ের জন্য কম সময় ধরে গোসল করা, ট্যাপ বন্ধ রাখা, ওয়াশিং মেশিনে পুরো লোডে কাপড় ধোয়া এবং পুরনো ইমেইল মুছে ফেলার মতো অভ্যাস গড়ে তোলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, কারণ সার্ভার ফার্মগুলোও প্রচুর পানি ব্যবহার করে।
পরিবেশ সংস্থার চেয়ারম্যান অ্যালান লাভেল বলেন, “এই ঘাটতি শুধু আপনার ট্যাপের পানি নয়, বরং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তার ওপরও হুমকি তৈরি করবে।”
সরকার ইতিমধ্যে আগামী পাঁচ বছরে পানির অবকাঠামো উন্নয়নে £১০৪ বিলিয়ন বরাদ্দ দিয়েছে। পাশাপাশি, পানি কোম্পানিগুলো ১ কোটি স্মার্ট মিটার বসানোর পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছে।
সূত্রঃ বিবিসি
এম.কে
১৮ জুন ২০২৫