যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান দাবি করেছেন যুক্তরাজ্যে বহুসংস্কৃতিবাদ ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী সুয়েলা ব্র্যাভারম্যানের এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন ঋষি সুনাক। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বলেন যুক্তরাজ্য “বহুসংস্কৃতি গণতন্ত্র” নিয়ে গর্ব করতে পারে। সারা বিশ্বজুড়ে রয়েছে এর বহুল প্রশংসা।
স্বরাষ্ট্রসচিব তার বিভিন্ন বক্তব্যের কারণে তার সহকর্মী সংসদ সদস্যদের দ্বারা আরো বহুবার সমালোচিত হয়েছিলেন বলে জানান ঋষি। ঋষি সুনাক বলেন, “স্বরাষ্ট্রসচিবের বিভিন্ন বক্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যে সমালোচনা হয়েছে। সুয়েলা দাবি করেছিলেন বর্ণবাদী বা ইলিবারাল বলে অভিহিত হওয়ার আশঙ্কার কারণে মানবাধিকার আইনগুলির পাইকারি সংস্কার করতে তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন।”
প্রধানমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যানকে সমর্থন করতে অস্বীকার করে বলেন, “আমি মনে করি যুক্তরাজ্য হ’ল একটি দুর্দান্ত বহুসংস্কৃতির গণতন্ত্র। আমি মনে করি বছরের পর বছর ধরে আমরা যে অগ্রগতি করেছি আমাদের সকলের সম্মিলিতভাবে তারজন্য গর্বিত হওয়া উচিত।”
ব্র্যাভারম্যান মঙ্গলবার তার বক্তৃতাটি এমন এক সময় করলেন যখন ইংল্যান্ডে নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এসেছে। সমালোচকেরা মনে করেন ভবিষ্যতের নেতৃত্ব নির্বাচনের সময় টরি পার্টি থেকে সমর্থনের জন্য এটি একটি উদ্যোগ হতে পারে সুয়েলা ব্রেভারম্যানের।
ওয়াশিংটন ডিসিতে বক্তব্যে সুয়েলা ব্রেভারম্যান আরও দাবি করেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ১৯৫১ সালের জাতিসংঘের শরণার্থী কনভেনশনকে সংস্কার করতে ব্যর্থ হয়েছিল।
উল্লেখ্য যে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক কনজারভেটিভ পার্টি হতে আবারও নমিনেশন চাইবেন বলে খবর রয়েছে। ঋষি সুনাকের একজন অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে সুয়েলা ব্রেভারম্যান দীর্ঘদিন হতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন সামনে আরো বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক বক্তব্য ও ইমিগ্রেশন নিয়ে নানা পরিকল্পনা আসতে পারে। সবকিছুই নির্বাচনকে উৎরে যাওয়ার পন্থা বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
এম.কে
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩