সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বহুল আলোচিত স্কুলছাত্র সুমেল আহমদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেছে আদালত। বুধবার (৩০ জুলাই) সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালত এ রায় প্রদান করেন। রায়ে যুক্তরাজ্য প্রবাসীসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ড এবং সাতজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মামুনুর রশীদ পলাতক রয়েছেন এবং প্রধান আসামি সাইফুল গ্রেপ্তারের পর থেকে প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন। মোট ৩২ আসামির মধ্যে ৩০ জনকে রায় ঘোষণার দিন আদালতে হাজির করা হয়।
সুমেল হত্যা মামলার পটভূমি দীর্ঘদিনের হাওর দখলকে কেন্দ্র করে। বিশ্বনাথের চাউলধনী হাওর প্রায় দুই দশক ধরে সাইফুল ও তার বাহিনী ভুয়া মৎস্যজীবী সমিতির নামে দখল করে আসছিল। তারা কৃষকদের জমি দখল, বেআইনি সেচ ও পরিবেশ ধ্বংসের অভিযোগে বহুবার অভিযুক্ত হয়। কৃষকদের বাঁধা দিলে মারধর, হত্যার হুমকি ও হয়রানি চালানো হতো।
২০২১ সালের ১ মে সাইফুল বাহিনী হাওর দখলের সময় চৈতনগর গ্রামে সশস্ত্র হামলা চালায়। বন্দুকের গুলিতে শাহজালাল হাইস্কুলের ১০ম শ্রেণির ছাত্র সুমেল আহমদ নিহত হয়। তার বাবা ও চাচাসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর সুমেলের চাচা ইব্রাহিম আলী সিজিল বাদী হয়ে ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্তে তৎকালীন ওসি শামিম মুসা ও এসআই নুর ও ফজলুল হকের সহযোগিতার প্রমাণ মেলে, যাদের পরবর্তীতে ক্লোজ করা হয়। তদন্ত শেষে ৩২ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশীট আদালতে দাখিল করা হয়। মোট ২৩ জন সাক্ষী আদালতে স্বাক্ষ্য প্রদান করেন। বাদীপক্ষ আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে।
বহুল আলোচিত এ মামলার রায়ে আদালত আটজনকে মৃত্যুদণ্ড, সাতজনকে যাবজ্জীবন এবং অন্যদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেন। বাদীপক্ষ এ রায়কে ন্যায়বিচারের বিজয় হিসেবে উল্লেখ করেছে।
সূত্রঃ স্যোশাল মিডিয়া
এম.কে
৩১ জুলাই ২০২৫