বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আম রফতানির বিপুল সম্ভবনা রয়েছে বাংলাদেশের। গত কয়েক বছর ধরেই ইউরোপসহ বেশ কয়েকটি দেশে আম রফতানি হচ্ছে। গত বছর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ ২৮টি দেশে প্রায় ১ হাজার ৮০০ টন আম রফতানি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এ বছর প্রায় ৪ হাজার টন আম রফতানি হতে পারে। তবে আম রফতানির পথে প্রধান প্রতিবন্ধকতা ফার্মার সার্টিফিকেট ও ফাইটো স্যানিটারি সার্টিফিকেট প্রাপ্তি।
এছাড়া কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজের অব্যবস্থাপনা, উড়োজাহাজের ভাড়াও ভাবিয়ে তুলছে উদ্যোক্তাদের। এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করা সম্ভব হলে খাতটি আরও বেশি সম্ভাবনাময় হয়ে উঠতে পারে। সংশ্লিষ্ট একাধিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘গত বছর আমরা প্রায় ১৮০০ টন আম রফতানি করেছি। এ বছর আম রফতানি আরও বাড়বে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জায়গায় রফতানিযোগ্য আম উৎপাদন হচ্ছে। ক্লাস্টার করে আম চাষ করা হচ্ছে। দেশ থেকে আম রফতানি খুবই সম্ভাবনাময়।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, গত বছর ২৮টি দেশে আম রফতানি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি রফতানি হয়েছে যুক্তরাজ্যে, দেশটিতে ৬২৫ টন আম রফতানি হয়। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সৌদি আরবে ২২৬ টন আম রফতানি হয়, আর তৃতীয় অবস্থানে থাকা ইতালিতে রফতানি হয়েছিল ১৭৩ টন। এছাড়া আম রফতানি হওয়া অন্য দেশগুলো হলো- অস্ট্রিয়া, বাহরিন, বেলজিয়াম, কানাডা, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, হংকং, আয়ারল্যান্ড, জর্ডন, লেবানন, মালদ্বীপ, নেদারল্যান্ড, ওমান, পুর্তগাল, কাতার, রাশিয়া, সিঙ্গাপুর, সোয়াজিল্যান্ড, সু্ইডেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ বছর এসব দেশসহ আরও নতুন দেশেও আম রফতানি হতে পারে।
এম.কে
৩১ মে ২০২৩