8.9 C
London
November 17, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)শীর্ষ খবর

যুক্তরাজ্য সরকারের ইমিগ্রেশন নীতি বিপর্যয় নিয়ে আসতে পারেঃ গবেষণা

একাডেমিক বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে যুক্তরাজ্যে নেট মাইগ্রেশন আসন্ন বছরগুলিতে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নেট মাইগ্রেশনের সংখ্যা কমে বছরে প্রায় ৩ লাখের কাছাকাছি হয়ে যাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে যা প্রাক-ব্রেক্সিট স্তরের কাছাকাছি।

২০২২ সালের জুন মাসে নেট মাইগ্রেশন রেকর্ড পরিমাণ গিয়ে দাঁড়িয়েছিল বলে জানায় ইমিগ্রেশন বিভাগ। যার সংখ্যা ছিল ৬,০৬,০০০ জন যা আগের বছরের তুলনায় ২৪% বেশি। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এই অত্যাধিক সংখ্যাধিক্যকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলেন। তিনি জানান, এই নেট মাইগ্রেশনের সংখ্যাকে তিনি দ্রুত নামিয়ে আনতে চান।

বিশেষ ভিসা স্কিম ছাড়াও ইউক্রেন এবং হংকংয়ের শরণার্থীদের আগমনের কারণে অতিরিক্ত লোকেদের আগমন ঘটে যুক্তরাজ্যে বলে সংবাদপত্রের খবরে জানা যায়। তাছাড়া স্টুডেন্ট ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিটের কারণেও দ্রুত বাড়ছে ইমিগ্র‍্যান্টদের সংখ্যা বলে জানায় একটি গবেষক সংস্থা।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইগ্রেশন অবজারভেটরি এবং লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্সের সেন্টার ফর ইকোনমিক পারফরম্যান্সের বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরিচালিত একটি জরিপে দেখা যায়, ইউকেতে অর্থনৈতিক দুরাবস্থার কারণে অনেক শিক্ষার্থীরা কোর্স সম্পন্ন করে অন্য কোনো দেশে অথবা নিজের দেশে ফেরত চলে যাওয়ার প্রবনতা বাড়ছে।

গবেষণার উপসংহারে বিশেষজ্ঞরা জানান, স্থানীয় অনেক মানুষেরাও দেশত্যাগের দিকে ঝুঁকছেন। যা থেকে অনুমান করা যায় আগামী দশকের ভিতরেই জনসংখ্যা বা শ্রমজীবী শ্রেণীর ঘাটতিতে পড়তে পারে যুক্তরাজ্য। বিশ্লেষণে আরো জানানো হয়েছে নেট মাইগ্রেশন ২০৩০ সালের মধ্যে আড়াই লাখে এসে ঠেকতে পারে যুক্তরাজ্যে।

এলএসইর অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং প্রতিবেদনের সহ-লেখক অ্যালান ম্যানিং বলেছেন, “ বিভিন্ন অবস্থা পর্যালোচনা করে বোঝা যায় আগামী বছরগুলিতে নেট মাইগ্রেশন হ্রাস পাবে। যদিও তা এখনই বাহ্যিকভাবে অনুধাবন করা যাচ্ছে না।”

মাইগ্রেশন অবজারভেটরি জানায়, করোনাকালীন সময়ে ইমিগ্রেশনের চাপ হ্রাস পেয়েছিল তবে দুই বছর পর সমান চাপ প্রায় দ্বিগুণ গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে। ডেভিড ক্যামেরন বা অন্যান্য রক্ষণশীল নেতারা ইমিগ্রেশনের চাপ কমানোর বিভিন্ন পন্থা নিয়ে ভাবলেও সফলতা দেখতে পারেননি। বর্তমান স্বরাষ্ট্র সচিব সুয়েলা ব্রেভারম্যান ইমিগ্রেশন নিয়ে বিশাল চাপে রয়েছেন বলেও মাইগ্রেশন অবজারভেটরি জানায়।

উল্লেখ্য যে হাজার হাজার লোক কেয়ার ভিসায় ইউকেতে প্রবেশ করছে তবুও স্বাস্থ্যখাত খুবই দূর্বল হতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্যে। জুনিয়র চিকিৎসক,নার্স কিংবা স্বাস্থ্যকর্মী এবং কেয়ারার সেক্টরে লোকেদের ঘাটতি রয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে এইজন্য খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যখাত বলে জানায় অনেক বেসরকারি সংস্থা।

যুক্তরাজ্য সরকারের সম্প্রতি ঘোষিত এনএইচএস ওয়ার্কফোর্স প্ল্যানটি দ্বারা যুক্তরাজ্যের স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশিক্ষিত করার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। এর মূল কারণ বিদেশী কর্মীদের উপর নির্ভরতা হ্রাস করা। যদিও এটি কার্যকর হতে কয়েক বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছে এনএইচএস।

এম.কে
১৭ অক্টোবর ২০২৩

আরো পড়ুন

ফুসফুস ক্যানসারের মৃত্যু ঝুঁকি অর্ধেক কমানোর ঔষধ আবিষ্কার

গণতন্ত্র এখন হুমকির মুখে : জাতিসংঘ মহাসচিব

বিস্তৃত হচ্ছে যুক্তরাজ্য-জিসিসি বাণিজ্য সম্পর্ক