যাদের ঘর থেকে চলা ফেরায় সমস্যা কিংবা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাযুক্ত তাদের বাড়ি হতে কাজ চালিয়ে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্য সরকারের একজন মন্ত্রী। অন্যথায় তারা সরকার হতে প্রাপ্ত সহায়তা বঞ্চিত হতে পারেন বলে তিনি মতামত দেন।
ঋষি সুনাক সরকারের পলিসি মোতাবেক এই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান ট্রেজারি বিভাগের মুখ্য সচিব লরা ট্রট। তিনি আরো বলেন, যদি কেউ কাজ করার সক্ষমতা সম্পন্ন হন তাহলে অবশ্যই দেশের জন্য ভুমিকা রাখা উচিত।
দ্য টাইমসের প্রতিবেদনে জানা যায়, যারা ঘর থেকে কাজ চালিয়ে যাবার সক্ষমতা রাখেন তারা যদি কাজ করতে অনীহা প্রদর্শন করেন তাহলে সরকার সহায়তা ফান্ড হতে বছরে ৪,৬৮০ পাউন্ড কেটে নিতে পারে।
তবে দাতব্য সংস্থাগুলি সরকারের এই মতের দৃঢ় সমালোচনা করে। চ্যারিটি সংগঠন জেড2কে-র পরিচালক আইলা ওজম্যান বলেন, এই পরিকল্পনা সরকারের অসুস্থ চিন্তার ফসল। যে গোষ্ঠীকে নিয়ে সরকার এই পরিকল্পনা করছে তাদের জন্য ঘর থেকে কাজ করে যাওয়ার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে এমন কোনো প্রমাণ নেই। বরং এই ধারনা হতে বোঝা যায়, যারা ভবিষ্যতে কাজ করতে অক্ষম হবেন তাদের জন্য ফান্ড কাটার উপায় বাতলে রাখছে সরকার।
জাতীয় প্রতিবন্ধী দাতব্য সংস্থার নীতি নির্ধারক সারাহ হোয়াইট বলেন, “ সরকারের এই পরিকল্পনা হতে বোঝা যায় সরকার ডিসেবল লোকদের জন্য আরও মানসিক চাপ প্রয়োগের ক্ষেত্র প্রস্তুত করছে। যেখানে ইতিমধ্যে একটি ডিসেবল লোকের পরিবার নানা ধরনের চাপের মধ্যে দিনযাপন করছেন।”
উল্লেখ্য যে, কাজের সক্ষমতা মূল্যায়ন (ডব্লিউসিএ) সম্পর্কে সরকারের পরামর্শের পরে নীতিমালার বিষয়টি ওয়ার্ক অ্যান্ড পেনশন বিভাগ (ডিডাব্লুপি) দ্বারা নির্ধারিত করা হবে।দাতব্য সংস্থা ইতিমধ্যে সতর্ক করে দিয়েছে যে ডিডাব্লুপি স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সুবিধাগুলি আরও কঠোর করার পরিকল্পনা করেছে। যা যুক্তরাজ্যের শ্রমজীবী প্রাপ্তবয়স্ক ও তাদের পরিবারের জন্য বিশাল উদ্বেগের।
সোমবার লন্ডনে সহায়তা সুবিধাগুলিতে পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা কাজ করার ক্ষমতাকে একটি মর্যাদা হিসেবে বিশ্বাস করি। দারিদ্রতা হতে বের হতে হলে আমরা বিশ্বাস করি কাজই কল্যাণকর।”
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
২১ নভেম্বর ২০২৩