যুক্তরাজ্যে মুদ্রাস্ফীতির কারণে জনজীবনে কঠিন চাপ সৃষ্টি হয়েছে। বেতন বৃদ্ধির জন্য সরকারী বিভিন্ন বিভাগের কর্মচারীরা আন্দোলন করে যাচ্ছে দীর্ঘদিন হতে। এরই মাঝে বর্তমান সরকার হোম অফিসের কর্মীদের ৯% বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বিভাগটি নিশ্চিত করেছে।
বেসামরিক কর্মচারীদের প্রতিনিধিত্বকারী ইউনিয়ন, পিসিএস, এই বেতন বৃদ্ধির ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়।
হোম অফিস জানিয়েছে বর্তমানে বেতন বৃদ্ধির অর্থ হ’ল কর্মীদের মনোবল ধরে রাখা। সিভিল সার্ভিসের বিভিন্ন বিভাগের মনোবল বর্তমানে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে।
কনজারভেটিভ এমপি নীল ওব্রায়েন বলেছেন, অভিবাসন ও অপরাধ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে জনগণ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও স্বাভাবিক নয় বলে জনগণ প্রতিনিয়ত তাদের মতামত জানাচ্ছেন।
বিবিসির জানায় সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে মুদ্রাস্ফীতি বর্তমানে ২.২% এ উন্নিত হয়েছে।
পিসিএস ইউনিয়ন জানিয়েছে, হোম অফিসের সাম্প্রতিক বার্ষিক প্রতিবেদন হতে দেখা গিয়েছে অস্থায়ী এজেন্সি কর্মীদের নিয়োগের কারণে ব্যয় গত দুই বছরে তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অতিরিক্ত অর্ধ বিলিয়ন পাউন্ডে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে অবৈধ অভিবাসন মোকাবেলায়। তাছাড়া বাতিলকৃত রুয়ান্ডা চুক্তির জন্যও ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছিল ।
হোম অফিসের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, বেতন বৃদ্ধি সিভিল সার্ভিস বেতন রেমিট গাইডেন্সের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ আছে।
তিনি বলেন, ” এই বছরের বেতন দিকনির্দেশনা আমাদের সমস্ত কর্মীদের কঠোর পরিশ্রমকে স্বীকৃতি দেয়।
কনজারভেটিভ সাংসদ ওব্রায়েন মতামত দিতে গিয়ে বলেন, ” ভাল পারফরম্যান্সের জন্য কর্মীদের পুরস্কৃত করার সাথে আমার কোনও সমস্যা নেই। তবে ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করে অবৈধ অভিবাসী যুক্তরাজ্যে প্রবেশ এবং অতি বিপজ্জনক লোকেরা জেল থেকে বেরিয়ে আসায় সমাজে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। সরকার আগে বড় বড় বুলি আওড়িয়েছিল যা এখন অসার হয়ে গিয়েছে।”
উল্লেখ্য যে, কারাগারে জায়গার সংকুলান না হওয়ায় বর্তমান লেবার সরকার কারগার হতে বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। অনেক বন্দিকে গৃহবন্দী করে রাখা যায় কিনা সেটা নিয়েও আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।
সূত্রঃ বিবিসি
এম.কে
২৭ অক্টোবর ২০২৪