যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক অ্যাপের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গিয়েছে, যা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার আগেই ঘটে। অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের একটি বার্তা দেখাচ্ছে, “দুঃখিত, এ মুহূর্তে টিকটক উপলব্ধ নেই।” যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার জন্য একটি আইন পাশ করা হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়।
এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার আগের দিন শুক্রবার, যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট একটি আইন পাস করেছে, যা কংগ্রেসের ব্যাপক দ্বিদলীয় সমর্থনসহ ২০২৪ সালের এপ্রিলে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দ্বারা স্বাক্ষরিত হয়। আইনটি চীনের মালিকানাধীন টিকটককে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরুর মাধ্যমে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাধ্য করেছে, যাতে তারা টিকটকের কনটেন্ট হোস্ট বা পরিবেশন না করে।
টিকটকের বিরুদ্ধে উদ্বেগ ছিল যে, অ্যাপটি চীন সরকারের পক্ষ থেকে মার্কিন নাগরিকদের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করার সুযোগ তৈরি করছে। এ ছাড়া, ইসরায়েলি গণহত্যার মতো কিছু বিষয় সেন্সর না করায় টিকটককে অনেক মার্কিন রাজনীতিবিদ ‘ইহুদী-বিদ্বেষী’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
এদিকে, টিকটক জানায় যে, তারা পুনরায় অ্যাপটি চালু করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে এবং এমনকি আসন্ন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শপথের পর এটি আবার চালু হতে পারে। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর টিকটকের উপর নিষেধাজ্ঞা ৯০ দিনের জন্য পিছিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন, যা অ্যাপটির ভবিষ্যত নিয়ে আশার আলো দেখায়।
এছাড়া, টিকটকের মাতৃ প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সের অন্যান্য অ্যাপ, যেমন ক্যাপকাটও, একই নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে, এবং অ্যাপ স্টোর ও গুগল প্লে স্টোর থেকেও এটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
তবে, বাংলাদেশের ব্যাপারে এখনও এমন কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ভবিষ্যতে টিকটক বন্ধের সিদ্ধান্ত আসতে পারে বাংলাদেশেও বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এম.কে
১৯ জানুয়ারি ২০২৫