2.2 C
London
November 21, 2024
TV3 BANGLA
আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্র স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবে নাঃ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখ্য উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় ও ক্ষেত্রসমূহে যুক্ত হতে ও পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবে না।

গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্যাটেল এ কথা বলেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে আছেন। তার যুক্তরাষ্ট্র সফরের আগে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে অজিত দোভাল বলেছিলেন, প্রতিবেশীদের ব্যাপারে অন্য দেশের এমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া উচিত হবে না, যা ভারতের জাতীয় স্বার্থে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

জবাবে প্যাটেল বলেন, এ বিষয়ে তিনি দুটি কথা বলবেন। যুক্তরাষ্ট্র তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় ও ক্ষেত্রসমূহে যুক্ত হতে এবং পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবে না। আর একটি উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকা বজায় রাখতে ভারতীয় অংশীদারদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করে থাকে। তবে সবচেয়ে বেশি নজর রাখা হয় নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় সমূহের উপর।

প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে ৭৫ কংগ্রেস সদস্য প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী মোদির বিষয়ে এই মার্কিন আইনপ্রণেতারা প্রশ্ন উত্থাপন করেন। তারা মোদির মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয় নজরে নিয়ে আসেন। মোদি মুসলমানদের ও সাংবাদিকদের সঙ্গে যে আচরণ করেন, সে বিষয়ে তারা লিখেছেন। এই বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের অভিমত জানতে চাওয়া হয়।

জবাবে প্যাটেল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে আসছেন। এই দেশগুলোকে ইতিমধ্যে সতর্কতামূলক জবাব দেওয়া হয়েছে। তারা নিয়মিতভাবে ধর্মীয় স্বাধীনতা, বিশ্বাসের স্বাধীনতাসহ যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার-সংক্রান্ত উদ্বেগের বিষয়ে উচ্চপর্যায়ে কথা বলে থাকেন। তারা যুক্তরাষ্ট্রের স্বাভাবিক অংশীদার হিসেবে একটি সুরক্ষিত, সমৃদ্ধ, গণতান্ত্রিক ও বহুত্ববাদী ভারতের কথা ভাবনায় রাখেন।

মোদির বর্তমান যুক্তরাষ্ট্র সফরটি কীভাবে অতীতের সফরগুলোর চেয়ে ভিন্ন, সেই প্রশ্ন প্রেস ব্রিফিংয়ে করা হয়।

জবাবে প্যাটেল বলেন, এটি রাষ্ট্রীয় সফর। তাই আগের দ্বিপক্ষীয় সফরগুলোর চেয়ে এই সফর একটু ভিন্ন। তবে সত্যিকার অর্থে, এই সফরকে অন্যান্য সফরের সঙ্গে তুলনা করা যায় না। এটি ভারতীয় অংশীদারদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে আরও গভীর, প্রসারিত ও শক্তিশালী করার সফর।

এম.কে
২৩ জুন ২০২৩

আরো পড়ুন

ইনসমনিয়ায় ভুগছেন কিম জং উন

দরিদ্রতম দেশের তালিকা থেকে বের হচ্ছে ভুটান

নিউজ ডেস্ক

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় আন্তর্জাতিক চাপে সরকার