এক লাখ সাধারণ ফিলিস্তিনিকে আজ সোমবার গাজার রাফাহ থেকে সরে যাওয়া নির্দেশ দিয়েছিল ইসরায়েলি বাহিনী। ওই অঞ্চলটিতে তারা হামলা শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তবে এই হামলার মুখে অবশেষে যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে হামাস যোদ্ধারা রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় হামাস যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে রাজি হলেও এ বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে যুদ্ধবিরতিতে হামাসের রাজি হওয়ার খবর পেয়ে গাজার বিভিন্ন স্থানে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন অসংখ্য ফিলিস্তিনি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার মাঝামাঝি অঞ্চলে অবস্থিত আল-আকসা হাসপাতালের বাইরে মানুষের উল্লাস দেখা গেছে। উল্লাসের বেশ কিছু ছবি ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে।
বলা হয়েছে, শিশুরা আনন্দে লাফিয়ে উঠছিল আর বয়স্ক ব্যক্তিরা আনন্দে গান করছিল। উল্লাসের সময় হাঁড়ি-পাতিল বাজানোর মতো ধ্বনিও শোনা গেছে। এমনকি আনন্দ প্রকাশ করতে আগুনও জ্বালিয়েছিলেন কেউ কেউ।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের নেতৃত্ব গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত মেনে নিলেও এই যুদ্ধ বিরতি কতক্ষণ স্থায়ী হবে এবং গাজায় জিম্মি থাকা ইসরায়েলিদের বিষয়ে কী সুরাহা হবে—সেই বিষয়ে হামাসের বিবৃতিতে কোনো কিছু উল্লেখ নেই।
চুক্তি মেনে নেওয়া বিষয়ে হামাসের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘বল এখন ইসরায়েলের কোর্টে।
হামাসের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাদের নেতা ইসমাইল হানিয়াহ কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি এবং মিসরীয় গোয়েন্দা মন্ত্রী আব্বাস কামেলের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। হামাসের অবস্থান সম্পর্কে অবহিত করেছেন।
হামাসের বিবৃতির আগে গাজার রাফাহ থেকে এক লাখ মানুষকে অন্যত্র চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইসরায়েলি সেনারা। এরও আগে হামাসের রকেট হামলায় ইসরায়েলের তিন সৈন্য নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছি দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে প্রবেশ করে হামাসের যোদ্ধারা সহস্রাধিক ইসরায়েলিকে হত্যা করেছিল এবং অপহরণ করে গাজায় নিয়ে গিয়েছিল আরও দুই শতাধিক মানুষকে।
এর পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে গাজায় বোমাবর্ষণ এবং স্থল অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় প্রায় ৩৪ হাজার ৭০০ মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্রঃ বিবিসি
এম.কে
০৭ মে ২০২৪