TV3 BANGLA
বাংলাদেশ

রয়টার্সকে প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিনঃ অন্তর্বর্তী সরকারে অপমানিত বোধ করছি

আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের পর মেয়াদের মাঝামাঝি সময়েই পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান তিনি। বলেছেন, নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারে তিনি অপমানিত বোধ করছেন।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক হলেও তার এই ভূমিকা কেবল আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। কেননা, নির্বাহী ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার হাতেই ন্যস্ত থাকে। তবে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর প্রেসিডেন্ট পদ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। সংসদ ভেঙে দেওয়ার পর প্রেসিডেন্টই ছিলেন দেশের শেষ সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ।

৭৫ বছর বয়সী সাহাবুদ্দিনকে ২০২৩ সালে হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত করে। ঢাকার সরকারি বাসভবন থেকে হোয়াটসঅ্যাপে দেয়া সাক্ষাৎকারে সাহাবুদ্দিন বলেন, আমি চলে যেতে আগ্রহী। আমি বেরিয়ে যেতে আগ্রহী। প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচন না হচ্ছে, আমাকে চালিয়ে যেতে হবে। সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট পদে থাকার ফলেই আমি আমার অবস্থান ধরে রেখেছি।

তিনি বলেন, ইউনূস তার সঙ্গে প্রায় সাত মাস ধরে দেখা করেননি। তার প্রেস বিভাগকেও সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানান সাহাবুদ্দিন। সেপ্টেম্বরে সারা বিশ্বের বাংলাদেশ দূতাবাসগুলো থেকে প্রেসিডেন্টের প্রতিকৃতিগুলোও সরিয়ে ফেলা হয়।

সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট বলেন, সকল কনস্যুলেট, দূতাবাস এবং হাই কমিশনে প্রেসিডেন্টের প্রতিকৃতি ছিল। তা হঠাৎ করেই রাতারাতি সরিয়ে ফেলা হয়। তিনি বলেন, মানুষের কাছে একটি ভুল বার্তা যায়। তারা মনে করে সম্ভবত প্রেসিডেন্টকে সরিয়ে দেয়া হবে। আমি খুব অপমানিত বোধ করেছি। প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রতিকৃতিগুলো নিয়ে তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠি লেখেন। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।

এম.কে

আরো পড়ুন

সৎ মন্ত্রীর সম্পদশালী পুত্রের ২১৩ কোটির বিত্তবৈভব!

আগের সিদ্ধান্ত বদল, বিসিএস দেওয়া যাবে চারবার

টুকু পুত্র আসিফ শামসের যুক্তরাজ্যে বিলাসবহুল সম্পত্তি, আলোচনায় চার বাড়ি