যুক্তরাজ্যে ১৯৮০ সালে রাইট টু বাই স্কিম চালু হয়েছে। রাইট টু বাই স্কিম লন্ডন নগরীর যেকোনো কাউন্সিলের ভাড়াটেদেরকে সর্বোচ্চ ১০৮ হাজার পাউন্ড ডিসকাউন্ট সুবিধা দিয়ে বাড়ি বা ফ্লাট কিনতে সহযোগিতা করে। তবে লন্ডন নগরীর বাইরের বাসিন্ডাদের জন্য সর্বোচ্চ ডিসকাউন্ট সুবিধা হচ্ছে ৮০ হাজার ৯ শত পাউন্ড। তবে সরকার প্রতি বছরের এপ্রিল মাসে এই ডিসকাউন্ট এর পরিমাণ পর্যালোচনা করে।
নিন্মলিখিত বিষয়ের উপর ভিত্তি করে ডিসকাউন্ট ধার্য করা হয়:
এক. আপনি কাউন্সিলের ভাড়াটে হিসেবে কতদিন যাবত বসবাস করছেন।
দুই. যে বাড়িটি আপনি কিনতে চান সেটি হাউজ না-কি ফ্লাট?
তিন. বাড়িটির মূল্য কত?
চার. বাড়িটি লন্ডন নগরীর ভিতরে না-কি অন্য এলাকায়।
রাইট টু বাই এর উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয়:
১.যদি দুই জনের নামে ঘরের টেনেন্সি থাকে তাহলে সর্বপ্রথম যার নামে টেনেন্সি শুরু হয়েছে সেই সময় থেকেই কাউন্সিলের ঘরে বসবাসের সময় গণনা করা হবে। একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি আরো পরিষ্কার হবে। যেমনঃ একজন পুরুষ ২০১৪ সাল থেকে কাউন্সিলের ঘরে বসবাস করছেন। ২০১৮ সালে তিনি বিয়ে করলেন এবং তার স্ত্রীর সাথে যৌথ টেন্যান্ট হিসেবে টেনেন্সিতে অন্তর্ভুক্ত করা হল। এমন অবস্থায় স্বামী স্ত্রী যদি ঘরটি ক্রয় করতে চান তাহলে স্বামীর নামে করা টেনেন্সির প্রথম দিন অর্থাৎ ২০১৪ সাল থেকে সময় গণনা শুরু হবে। যদি দেখা যায় তিনি তিন বছর থেকে বসবাস করছেন তাহলে তারা দুজনই রাইট টু বাই এর জন্য যোগ্য হয়ে যাবেন।
২. আপনি যদি কোনো কাউন্সিলের ঘরে তিন বছর বসবাস করার পর অন্যত্র চলে যান এবং কয়েক বছর পর আবার ফিরে এসে পুনরায় কাউন্সিলের ভাড়াটে হন তাহলে পূর্বের তিন বছর থেকেও কিছু সময় গণনা করা হবে।
৩. রাইট টু বাই এপ্লিকেশন পরিবারের সর্বোচ্চ তিন জনের নামে করা যাবে যারা একই বাড়িতে একসাথে বসবাস করেন।
৪. কাউন্সিলের ভাড়াটে থাকা অবস্থায় যদি আপনার বাড়িটি কোনো হাউজিং এসোসিয়েশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়, তবুও আপনি রাইট টু বাই এর আওতায় ডিস্কাউন্টে বাড়িটি কিনতে পারবেন।
৫. বাড়ি ক্রয় করার পর যদি আপনি কোন কারণে পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে বাড়িটি বিক্রি করে দিতে চান, তাহলে সাধারণত আপনাকে ডিসকাউন্ট মূল্যের সমূদয় অর্থ অথবা আংশিক ফেরত দিতে হবে। কাউন্সিল যদি আপনার ঘরের মেরামতের (রিফারবিশমেন্ট) এর জন্য কোন অর্থ খরচ করে থাকে তাহলে ডিসকাউন্ট কম হবে।
২৯ নভেম্বর ২০২০
মোস্তাফিজুর রহমান
ই-মেইল: info@benecofinance.co.uk
ফোন: 0208 050 2478