যুক্তরাজ্যের চ্যান্সেলর রাচেল রিভস জোর দিয়ে বলেছেন যে তিনি “দীর্ঘমেয়াদে যুক্তরাজ্যে কাজ চালিয়ে যেতে” প্রস্তুত। সমালোচকদের তাকে দমিয়ে দিতে তিনি দেবেন না, যদিও তারা তার পদত্যাগ দাবি করছেন।
রাচেল রিভস বলেছেন, তিনি “আয়রন চ্যান্সেলর” হিসেবে পরিচিত হতে আপত্তি করেন না।
তিনি বলেন, “আমি এটা ব্যক্তিগতভাবে নিইনি, এটি রাজনৈতিক। কিছু লোক আমাকে সফল হতে দিতে চায় না। কিছু লোক এই সরকারকে সফলতা চায় না। এটা তাদের বিষয় কিন্তু আমি তাদের আমাকে দমিয়ে দিতে দেব না।”
আমি এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে ভয় পাই না যা দেশের অর্থনীতিকে সঠিক পথে নিয়ে যাবে এবং জনগণের জীবনে উন্নতি ঘটাবে।”
বিবিসি-র “পলিটিক্যাল থিঙ্কিং” পডকাস্টে তিনি বলেন, “যদি মানুষ আমাকে ‘আয়রন চ্যান্সেলর’ বলে ডাকতে চায়, তবে ডাকুক। তবে আমি সঠিক সিদ্ধান্ত নেব।”
রাচেল রিভস আরও বলেছেন, “গত বছরের বাজেটে নেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত আমি বদলে দেব না। যখন মানুষ বলেছিল পূর্বের নেয়া সিদ্ধান্তগুলো ভুল সেগুলো পরিবর্তন করা উচিত, আমি আমার অবস্থানে অটল ছিলাম। কারণ আমি জানতাম, যদি আমরা সেই সিদ্ধান্তগুলো থেকে সরে আসি, তাহলে আমরা সেই পরিস্থিতিতে ফিরে যাব, যেখানে টোরিরা দেশকে নিয়ে গিয়েছিল।”
তিনি আরও যোগ করেন যে প্রথম ছয় মাসে কঠিন কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে, যেমন:
পেনশন ক্রেডিট ব্যতীত অন্যদের জন্য শীতকালীন জ্বালানি ভাতা বন্ধ করা।
পেনশন বয়স পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত মহিলাদের ক্ষতিপূরণ না দেওয়া।
১৯৯০-এর দশকের পর প্রথমবার কৃষকদের জন্য উত্তরাধিকার কর আরোপ।
“আমাকে কেউ বলতে পারবে না যে রাচেল কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে অক্ষম। এই ধরনের তিনটি কঠিন সিদ্ধান্ত আমরা মাত্র ছয় মাসে নিয়েছি, কারণ এটি জাতীয় স্বার্থে সঠিক ছিল।”
তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের সাথে তুলনা অস্বীকার করে বলেন, “আমার নেওয়া প্রতিটি সিদ্ধান্তের পরিণতি আছে। কিন্তু এর বিপরীত সিদ্ধান্ত নিলে তারও পরিণতি হতো। যদি আমি সেই সিদ্ধান্তগুলো না নিতাম, তাহলে ঋণের খরচ আকাশচুম্বী হতো, যেমনটি লিজ ট্রাসের সময় ঘটেছিল।”
শেষে তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমি দীর্ঘমেয়াদে কাজ চালিয়ে যাব। আমি সহজ সিদ্ধান্ত, দ্রুত সমাধান বা বিষয়গুলো লুকিয়ে রাখার জন্য এখানে আসিনি। আমি দেশের অর্থনীতিকে মজবুত ভিত্তিতে দাঁড় করানোর জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে এখানে আছি।”
সূত্রঃ মিরর
এম.কে
১৭ জানুয়ারি ২০২৫