ব্রিটিশ যুবরাজ প্রিন্স হ্যারির সবধরনের সম্মানসূচক পদবি আগেই কেড়ে নেয়া হয়েছে। এবার ব্রিটিশ রাজপরিবারের ওয়েবসাইট থেকে মুছে ফেলা হলো তার সম্মানসূচক পদবি ‘হিজ রয়্যাল হাইনেস’। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ খবর দেয়া হয়েছে।
২০১৮ সালে মার্কিন অভিনেত্রী মেগান মার্কেলকে বিয়ে করেন প্রিন্স হ্যারি। কিন্তু মেগানকে ঘিরে রাজপরিবারের সঙ্গে হ্যারির দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এক পর্যায়ে রাজপরিবার ত্যাগের ঘোষণা দেন এবং স্ত্রী মেগানকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান।
এরপর ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু ও বাবা প্রিন্স চার্লসের রাজা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের সময় ঘরে ফিরলেও রাজপরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়নি।
ব্রিটিশ রাজপরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে ২০২০ সালে নিজেদের রাজ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির ঘোষণা দেন প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান মার্কেল। এরপরই তাদের সব ধরনের সম্মানসূচক পদবি কেড়ে নেয়া হয়।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাকিংহ্যাম প্যালেসের পক্ষ থেকে এক ঘোষণায় বলা হয়, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ এ মর্মে নিশ্চিত হয়েছেন যে, যুবরাজ ও তার স্ত্রী যে জীবন বেছে নিয়েছেন, সেখান থেকে তাদের ওপর অর্পিত রাজপরিবারের জনসেবামূলক দায়িত্ব ও কর্তব্যগুলো পালন করা সম্ভব নয়। তাই রাজপরিবারের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন মতে, এরপরও গত দুই বছর রাজপরিবারের ওয়েবসাইটে প্রিন্স হ্যারিকে ‘হিজ রয়্যাল হাইনেস’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে গত সপ্তাহে ওয়েবসাইটের তথ্য হালনাগাদ করে হ্যারির পদবি মুছে দেয়া হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, মূলত গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর থেকে এখনও রাজপরিবারের ওয়েবসাইট পুরোপুরি হালনাগাদ করা হয়নি।
২০১৮ সালে মেগান মার্কেলকে বিয়ে করার পর প্রিন্স হ্যারিকে সম্মানসূচক ডিউক অব সাসেক্স ও মেগানকে ডাচেস অব সাসেক্স উপাধি দেয়া হয়। এছাড়া হ্যারি বেশ কিছু সম্মানসূচক সামরিক খেতাবও পান। তবে এসব উপাধি বা পদবি এখন আর ব্যবহার করছেন না হ্যারি।
এম.কে
০৯ আগস্ট ২০২৩