রাজপরিবারের আরাম, স্বাচ্ছন্দ্য, খ্যাতি সব ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন আগেই। মুখ দেখাদেখিও বন্ধ। ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথের মৃত্যুর সময়ও গোটা রাজপরিবারের সঙ্গে তাদের দেখা যায়নি। বাকিংহাম প্যালেসের ছোট রাজপুত্র হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান এখন ‘রাজকীয়’ তকমা বিহীন। এনিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। সেই বিতর্কের তালিকাই আরেকটু লম্বা হল মেগানের পোশাক ঘিরে। সম্প্রতি নাইজেরিয়া সফরে মেগানের পরনের পিচ গাউনে দেখা গেল ‘উইন্ডসর’ ছাপ! যা কিনা ব্রিটিশ রাজপরিবারের শেষতম উপাধি। আর সেই গাউনই নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রে।
নাইজেরিয়ার ডিফেন্স চিফ অফ স্টাফের আমন্ত্রণে শুক্রবার সে দেশে গিয়েছেন হ্যারি ও মেগান। এটাই তাদের প্রথম নাইজেরিয়ায় আনুষ্ঠানিক সফর। সেই অনুষ্ঠানেই মেগানকে দেখা গেল পিচ রঙা গাউনে। তার পোশাকি নাম উইন্ডসর গাউন ব্লাশ। এই পোশাকটি তৈরি করেছেন ক্যালিফোর্নিয়ার ডিজাইনার হেইদি মারিক। একেবারেই সাদামাটা সাজ ছিল মেগানের। গাউনের সঙ্গে তিনি পরেছিলেন নাইজেরিয়ার জনজাতিদের তৈরি রংবেরঙের পুঁথির মালা। হ্যারির ক্রিম হোয়াইট প্যান্ট-শার্টের সঙ্গেও গলায় দেখা গিয়েছে সেই মালা।
তবে প্রচারের সমস্ত আলো গিয়ে পড়েছে মেগানের গাউনে। ‘উইন্ডসর’ সিগনেচার কেন থাকবে মেগান মর্কেলের গাউনে? এই প্রশ্নে তোলপাড় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলি। ইতিমধ্যে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল রাজকীয় তকমা সম্বলিত ব্রিটিশ রাজপরিবারের ‘ত্যাজ্য’ বধূর ড্রেস। অনেকেই বলছেন, রাজপরিবার থেকে বেরিয়ে নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর ‘গর্ব’ আসলে নাটক। তারা রাজকীয় ঘেরাটোপেই থাকতে চান। আবার কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন, ওই পোশাক নির্বাচনের সময় কি মেগান জানতেন যে ওটা রয়্যাল সিগনেচারের?
বিয়ের পর ২০১৮ সালে হ্যারি-মেগানকে রাজপরিবারের তরফে উপহার হিসেবে বাকিংহাম প্যালেসের ফ্রগমোর কটেজ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু দু বছরের মধ্যে ডিউক অ্যান্ড ডাচেস অফ সাসেক্স রাজপরিবারের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করে আমেরিকায় বসবাস শুরু করে। পারিবারিক ব্যবসা-বাণিজ্যের ভাগও ছেড়ে দেন হ্যারি। ২০২২ সালে রানি এলিজাবেথের মৃত্যুর পরও মেগানকে রাজপরিবারের সঙ্গে দেখা যায়নি। ফলে তার পোশাকের রাজকীয় ছাপ স্বভাবতই বিতর্ক তুলবে।
সূত্রঃ ভ্যানিটি ফেয়ার
এম.কে
১৪ মে ২০২৪