রাশিয়ার বুকে আঘাত হানতে ইউক্রেনকে প্রয়োজন হলে দূরপাল্লার ব্রিটিশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের ইঙ্গিত দিলেন যুক্তরাজ্যের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার। বুধবার এক বিবৃতিতে রাশিয়ার সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করার আহ্বান জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
এ বিষয়ে দ্য ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিতব্য ন্যাটোর ৭৫ তম সম্মেলনে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন স্টারমার। এ সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে দেওয়া এক বক্তব্যে ইউক্রেনে সরবরাহ করা ব্রিটিশ অস্ত্র কীভাবে ব্যবহার করা যাবে সেই সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
এ বিষয়ে স্টারমার বলেন, ‘যুক্তরাজ্য সাধারণত আত্মরক্ষার জন্য সামরিক সহায়তা প্রদান করে। তবে এই অস্ত্র ইউক্রেন কীভাবে ব্যবহার করে আত্মরক্ষা করবে সেই সিদ্ধান্ত তারাই নেবে।’
গত শুক্রবার লেবার পার্টির ভূমিধস বিজয়ের মধ্য দিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন স্টারমার। তার মন্তব্য থেকে পরিষ্কার হয়েছে, ইউক্রেন ইস্যুতে পূর্ববর্তী কনজারভেটিভ সরকারের অবস্থানেই আছে নতুন ক্ষমতায় আসা লেবার পার্টি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত চারজন প্রধানমন্ত্রী দেখল যুক্তরাজ্য। হামলা শুরুর বছর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা বরিস জনসন। তার পরে একই দলের লিজ ট্রাস ও ঋষি সুনাকও দেশটির প্রধানমন্ত্রিত্ব করেছেন। সর্বশেষ ১৪ বছর পর লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসলে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন কিয়ের স্টারমার। তবে কনজারভেটিভ কিংবা লেবার যে-ই ক্ষমতায় আসুক ইউক্রেন ইস্যুতে ব্রিটিশ অবস্থান যে বদলাবে না, তা স্টারমারের বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা ছাড়াও অর্থ এবং প্রশিক্ষক সেনা পাঠিয়ে সহযোগিতা করছে যুক্তরাজ্য। ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানো রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্যই প্রথম দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে। গত মে মাসে দেশটি ইউক্রেনে তাদের ‘স্টর্ম শ্যাডো মিসাইল’ পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছিল।
ওয়াশিংটনে ন্যাটোর সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের একটি বৈঠক হওয়ারও কথা রয়েছে।
সূত্রঃ দ্য ইকোনমিক টাইমস
এম.কে
১০ জুলাই ২০২৪