রাশিয়া থেকে ব্যারেল প্রতি তেল ৬০ ডলারে কেনার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) পোল্যান্ড এই বিষয়ে সমর্থন দিলে ইইউভুক্ত দেশগুলো ব্যারেল প্রতি ৬০ ডলারের বেশি দিয়ে তেল কেনা বন্ধ করার ব্যাপারে একমত হয় এবং একটি চুক্তিতে পৌঁছায়।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) ইইউ-এর আইনি জার্নালে এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে।
চুক্তিটি মূলত গ্রুপ অব সেভেনের (জি-৭) নেতৃত্বে হয়েছে। এর লক্ষ্য তেল বিক্রি থেকে রাশিয়ার রাজস্ব সীমিত করা। কারণ এই তেল বিক্রির রাজস্বই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অর্থায়নের জন্য ব্যবহার করে দেশটি।
চুক্তিটি পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে, যার লক্ষ্য মূল্য বৃদ্ধি রোধে বিশ্ব তেলের বাজারকে পুনর্বিন্যাস করা।
একই সময়ে, চুক্তিটি রাশিয়ান তেলের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের তরফে একটি নমনীয় পদ্ধতি বলে ধারণা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা ৫ ডিসেম্বর কার্যকর হওয়ার পরে আন্তর্জাতিক তেলের দামের তীব্র বৃদ্ধি রোধ করার লক্ষ্যে।
তবে অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে, এই ধরনের চুক্তি তেলের দাম আকাশচুম্বী করতে পারে, কারণ রাশিয়া বিশ্বের প্রায় ১০ শতাংশ তেল সরবরাহ করে।
তেলের মূল্যসীমা প্রবর্তনের অর্থ হলো, অংশগ্রহণকারী দেশগুলো কেবলমাত্র সমুদ্রপথে পরিবহণ করা তেল এবং পেট্রোলিয়াম পণ্যগুলো কেনার অনুমতি পাবে, যা নির্ধারিত মূল্যে বা তার নীচে বিক্রি হবে।
যেহেতু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিপিং এবং বীমা সংস্থাগুলো জি-৭ দেশগুলোতে অবস্থিত, তাই এই মূল্যসীমা রাশিয়ার পক্ষে তার তেল বেশি দামে বিক্রি করা খুব কঠিন করে তুলবে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেয়েন বলেন যে, এই মূল্যসীমা রাশিয়ার রাজস্ব উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করবে।
৩ ডিসেম্বর ২০২২
নিউজ ডেস্ক