বরিস জনসন প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে রুয়ান্ডা নির্বাসন বিলকে শক্ত করার জন্য তার উত্তরসূরিকে এক ধরনের চাপ প্রয়োগ করেছেন।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স ব্যবহার করে নিজের মতামত ব্যক্ত করেন। টরি সাংসদ সাইমন ক্লার্কের একটি নিবন্ধ পুনঃটুইট করে তিনি বলেন, রুয়ান্ডা বিলকে নতুনভাবে সংশোধন করা হলে তিনি এটিকে সমর্থন করবেন না।
জনসন মন্তব্য করেন, ” রুয়ান্ডা বিলটি অবশ্যই যথাসম্ভব আইনতভাবে দৃঢ় হতে হবে এবং সেই আলোকে সঠিক সংশোধনী আনা প্রয়োজন।”
এই বিষয়টি তখনই চর্চায় এসেছে যখন রক্ষণশীল দলীয় এম্পিরা বিলের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়েছেন।সুনাক বিরোধী কনজারভেটিভ জোটের এম্পিরা
আপিলের অধিকার ছাড়াই আশ্রয়প্রার্থীদের অপসারণ করতে চান বলে খবরে জানা যায়।
মিরিয়াম কেটস, আরেক বিশিষ্ট রাইটউইং ব্যাকব্যাঞ্চার, মঙ্গলবার সকালে বিবিসি রেডিও ফোর টুডের প্রোগ্রামের একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ” প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক আইনের ক্ষেত্রগুলি সম্পর্কে দীর্ঘ যুক্তি শুনে মনে হয় না যে আমরা মানুষের ইচ্ছা সম্পাদন করছি। আমাদের সুরক্ষিত সীমানা দরকার, এটাই মূলকথা।”
যুক্তরাজ্যের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী রুয়ান্ডা নির্বাসন বিলের বিষয়ে একটি রক্ষণশীল মেল্টডাউনের মুখোমুখি হয়েছেন।
সোমবার রাতে কনজারভেটিভ দলের দু’ইজন চেয়ার জানান, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনকে পাশ কাটিয়ে আমরা রুয়ান্ডানীতির সংশোধনীগুলিকে অবশ্যই সমর্থন করব।
উল্লেখ্য যে, যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের জরিপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই জরিপের ফলাফল গুলো কনজারভেটিভ দলের জন্য খুব বেশি সুখবর বয়ে আনছে না। একটি জরিপে এখা যায় যুক্তরাজ্যের প্রায় ৩৬১ আসনের মাঝে ৩১০ টি আসনে স্পষ্টভাবে এগিয়ে আছে লেবার পার্টি। তাই সবমিলিয়ে চিন্তার ভাঁজ দেখা যাচ্ছে কনজারভেটিভ দলের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কপালে।
সূত্রঃ গার্ডিয়ান
এম.কে
১৬ জানুয়ারি ২০২৪