22.3 C
London
June 20, 2025
TV3 BANGLA
আন্তর্জাতিক

রোচডেলের কুখ্যাত গ্রুমিং গ্যাংঃ পাকিস্তানের প্রত্যাখ্যানে যুক্তরাজ্যে আটকে অপরাধীরা

রোচডেল গ্রুমিং গ্যাংয়ের দুই অপরাধী যুক্তরাজ্যে অবস্থান, পাকিস্তানের প্রত্যাখ্যানরোচডেলের কুখ্যাত গ্রুমিং গ্যাংয়ের দুই প্রধান অপরাধী, কারি আব্দুল রউফ এবং আদিল খান, এখনও যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন কারণ পাকিস্তান তাদের ফিরিয়ে নিতে অস্বীকার করেছে।
২০১২ সালে নয় সদস্যের এশিয়ান গ্যাংয়ের অংশ হিসেবে দোষী সাব্যস্ত এই দুজন দুই বছর ধরে ১২ বছর বয়সী মেয়েদের মধ্যে ৪৭ জনকে মাদক ও অ্যালকোহল সরবরাহ করে গ্যাং-ধর্ষণের শিকার করেছিল।

তৎকালীন স্বরাষ্ট্র সচিব থেরেসা মে ২০১৪ সালে তাদের পাকিস্তানে নির্বাসনের নির্দেশ দিলেও, এক দশক পরেও তারা রোচডেলে রয়ে গেছেন, যেখানে তাদের শিকাররা তাদের পাশে বসবাসে বাধ্য হচ্ছেন।

পাকিস্তানের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই বিপজ্জনক অপরাধীদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া “অত্যন্ত কঠিন”। তথ্যমতে জানা যায়, আব্দুল রউফ এবং আদিল খান পাকিস্তানি নাগরিকত্ব ত্যাগ করে এবং পাসপোর্ট ছিঁড়ে “রাষ্ট্রহীন” হয়ে নির্বাসন প্রক্রিয়াকে জটিল করেছে।

২০১৮ সালে তারা নির্বাসনের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই হারলেও, যুক্তরাজ্যে স্ত্রী ও সন্তান থাকার কারণে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দাবি তুলে নতুন আবেদন করেছিল। যদিও তাদের আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়, তারা এখনও ব্রিটেনে রয়ে গেছেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের সাথে যুক্তরাজ্য আলোচনার মাধ্যমে এই ইস্যুতে অগ্রগতি করতে পারে। পাকিস্তানের জাতীয় এয়ারলাইন পিআইএ-এর সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালু হলে নির্বাসন প্রক্রিয়া সহজ হতে পারে বলে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, তবে যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই প্রস্তাব আলোচনায় উঠেনি।

স্বরাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র বলেছেন, “যুক্তরাজ্যে জঘন্য অপরাধ করা বিদেশি নাগরিকদের নির্বাসনের জন্য আমরা সবকিছু করব।”

এই ঘটনা ব্যারনেস কেসির সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের পর আলোচনায় ফিরে এসেছে, যেখানে বলা হয়েছে, কাউন্সিল, পুলিশ এবং স্বরাষ্ট্র দপ্তর বছরের পর বছর ধরে গ্রুমিং গ্যাংয়ের অপরাধীদের জাতিগত পরিচয় নিয়ে অস্বস্তিকর প্রশ্ন এড়িয়ে গেছে।

প্রতিবেদনে ১২টি সুপারিশ দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে আইন কঠোর করা, পুলিশ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ, এবং গ্রুমিং গ্যাংকে সংগঠিত অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা অন্তর্ভুক্ত। সরকার এই সুপারিশগুলো পুরোপুরি গ্রহণ করেছে।

আদিল খান ১৩ বছর বয়সী মেয়েকে গর্ভবতী করেছিল এবং ১৫ বছর বয়সী আরেক মেয়েকে পাচার করেছিল। যার ফলশ্রুতিতে ২০১২ সালে আট বছরের কারাদণ্ড পেয়েছিল এবং চার বছর পর মুক্তি পায়। রউফ, পাঁচ সন্তানের পিতা, ১৫ বছর বয়সী মেয়েকে ধর্ষণ ও পাচার করেছিল। আব্দুল রউফ ছয় বছরের সাজা পেয়ে ২০১৪ সালে মুক্তি পায়। এই ঘটনায় শিকারদের পরিবারগুলো এখনও ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানা যায়।

সূত্রঃ দ্য সান

এম.কে
২০ জুন ২০২৫

আরো পড়ুন

আজ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারে আয়ারল্যান্ড

ভারতের চিপ প্রকল্পে থাকছে না ফক্সকন

কাশ্মীরে হামলার পর ১৪ দিনে ভারতে ৬৪টি ঘৃণামূলক বক্তব্য রেকর্ডঃ রিপোর্ট