সরকারি বিজ্ঞানীরা বলছেন, পরোক্ষ ভাবে ১ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে দেওয়া লকডাউন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিসংখ্যান দাবি করেছে, লকডাউনের কারণে ক্যান্সার অপারেশন মিস করা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের সঠিক সময় চিকিৎসা না হওয়াতে মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের।
ব্রিটেনের জরুরি অবস্থার জন্য সরকারের বৈজ্ঞানিক পরামর্শদাতা গ্রুপ সতর্ক করে বলেছে, করোনা ভাইরাসের অর্থনৈতিক প্রভাবের কারণে পরবর্তী ৫০ বছরে অতিরিক্ত ৪০ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে। আয় কমে যাওয়া, বেকারত্ব, মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং সময় মতন চিকিৎসার অভাবের কারণে আরো অনেক মানুষ জীবন হারাতে পারে। ২০২০ সালের মার্চ মাসের শেষের দিকে প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে ৩২ হাজার জন অতিরিক্ত মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন।
মন্ত্রীরা দেশ থেকে লকডাউন উঠিয়ে নিতে ত্রি-পদক্ষেপের একটি পরিকল্পনায় কাজ করছেন বলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, কমপক্ষে ৮ মার্চ অবধি জাতীয় লকডাউন থাকতে পারে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে এই বিষয়ে আরো জানানো হবে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে এবং নির্দিষ্ট দেশ থেকে যুক্তরাজ্যে আগত যাত্রীদের জন্য নতুন সীমান্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে।
সূত্র: মেট্রো
১ ফেব্রুয়ারি ২০২১
এসএফ