17 C
London
May 13, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)শীর্ষ খবর

লন্ডনে আবাসন সংকট নিয়ে সরকার,মেয়র মুখোমুখি

লন্ডনে অর্থনৈতিক দৈন্যতার কারণে প্রচুর সংখ্যক বাড়ি খালি পড়ে আছে। অতিরিক্ত ভাড়া ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে লন্ডনে খালি ঘরগুলির ক্রমবর্ধমান সংখ্যাকে একটি “কেলেঙ্কারী” বলে অভিহিত করা হয়েছে, ২০১০ সালের পর থেকে এই সংখ্যাটি এখন সর্বোচ্চ।

সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী লন্ডন শহরে প্রায় ৩৪,৩২৭ টি বাড়ি দীর্ঘদিন হতে খালি অবস্থায় পড়ে আছে যা একটি অস্বাভাবিক ঘটনা।

এইসব বাড়ির মধ্যে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন বাড়ির সাথেসাথে কাউন্সিল এবং হাউজিং অ্যাসোসিয়েশনের মালিকানাধীন বাড়িও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

 

 

 

 

খালি বাড়ির সর্বাধিক সংখ্যাটি সাউথওয়ার্ক কাউন্সিলে বলে জানা যায় যেখানে ২,৪২২ টি খালি বাড়ি রয়েছে। এরপরের অবস্থানে আছে নিউহাম এবং বার্নেট। যেখানে খালি বাড়ির সংখ্যা যথাক্রমে ১,৯৪৪ ও ১,৮৯১ টি।

এইসব পরিসংখ্যান লন্ডনের বর্তমান মেয়র সাদিক খানের বিরোধীদের কাছ থেকে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। সমালোচকদের মতে সাদিক খানের অব্যবস্থাপনার শিকার হচ্ছেন জনগণ। কারণ মেয়রের খালি সম্পত্তিগুলির সংখ্যা হ্রাস করার জন্য কয়েকটি প্রত্যক্ষ ক্ষমতা রয়েছে যা সাধারণ জনগণের গোচরীভূত নয়। মেয়রের উচিত খালি বাড়িগুলো কেনার জন্য কাউন্সিলের সমর্থনে কাজ চালিয়ে যাওয়া। পাশাপাশি এই সমস্যাটি মোকাবেলায় তহবিলের প্রয়োজনে সরকারের কাছে তদবিরের কাজ চালিয়ে যেতে হবে।

কনজারভেটিভ লন্ডন এসেম্বলির সদস্য (এএম) অ্যান্ড্রু বোফ বলেছেন, পরিসংখ্যানগুলি দেখিয়েছে যে মিঃ খান আবাসন সংকট মোকাবেলায় পুরোপুরি ব্যর্থ। তিনি উল্লেখ করেন, মিঃ খানের পূর্বসূরি, বরিস জনসনের অধীনে রাজধানীতে খালি বাড়ির সংখ্যা হ্রাস পেয়েছিল ৪৫ শতাংশ। যা মিঃ খান ২০১৬ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ৭৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

 

 

মিঃ খানের মুখপাত্র প্রতিক্রিয়ায় জানান, “ পরিসংখ্যান দেখায় যে দীর্ঘমেয়াদী খালি বাড়ির সংখ্যা সারা দেশে বাড়ছে, অন্যদিকে ইংল্যান্ডের বাকী অংশের তুলনায় লন্ডনে খালি বাড়ির হার কম। এটি একটি জাতীয় সমস্যা যা সরকারের কাছ থেকে সমাধান আশা করে।”

সরকারের আবাসন বিভাগের একজন মুখপাত্র বলেন, “ কাউন্সিলের খালি সম্পত্তিগুলি আবার ব্যবহারের জন্য ফিরিয়ে আনার ক্ষমতা রয়েছে। জনগণের জন্য বাড়ির প্রয়োজন তাই অব্যবহৃত খালি বাড়িগুলো তাদের ব্যবহার করা উচিত। কনজারভেটিভ সরকার ২০১০ সাল থেকে ২.২ মিলিয়নেরও বেশি বাড়ি সরবরাহ করেছে এবং একই সময়ের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী খালি বাড়ির সংখ্যা ৫০,০০০ এরও বেশি হ্রাস করেছে।”

চ্যারিটি শেল্টারের প্রধান নির্বাহী পলি নিয়েট বলেছেন, “ লন্ডন জুড়ে হাউজিং একটি বড় সমস্যা। যখন মানুষ বসবাসের জন্য বাড়ি খুঁজে পাচ্ছে না সেটা হল একদিক। অন্যদিকে সরকারী পরিসংখ্যান মোতাবেক এতো এতো বাড়ি খালি পড়ে আছে। এটা আসলেই দুঃখজনক। সরকার ও মেয়র উভয়ের উচিত এই বিষয়ে সামঞ্জস্য আনার জন্য একত্রে কাজ করা। “

আরো পড়ুন

সংক্রমিত রক্ত কেলেঙ্কারি, বৃটিশ পার্লামেন্টে প্রথম পরাজয় প্রধানমন্ত্রী সুনাকের

সুইডেনে শরনার্থী শিশু হামিদের অর্থ সংগ্রহের রেকর্ড

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত