লন্ডনের চাকরিতে খালি পদ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা মর্গান ম্যাককিনলে লন্ডন এমপ্লয়মেন্ট মনিটর সোমবার এক পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২৪ সালের শেষ প্রান্তিকে ৩,৬৬৪টি চাকরির পোস্টিং করা হয়েছে। এই সংখ্যাটি ২০২৩ সালের শেষ তিন মাসের তুলনায় ১২ শতাংশ কম। ২০২৪ সালে সামগ্রিকভাবে শূন্যপদের সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় ২৮ শতাংশ কম ছিল।
শহরটিতে চতুর্থ প্রান্তিকে এত কম শূন্যপদ ছিল সবশেষ ২০২০ সালে। গত বছরের শেষ প্রান্তিকের তুলনায় শূন্যপদ কমেছে পাঁচ ভাগের এক ভাগ।
লন্ডনে ২০২৪ সালে সামগ্রিকভাবে শূন্যপদের সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় ২৮ শতাংশ কমেছে।
মর্গান ম্যাককিনলির পরিচালক মার্ক অ্যাস্টবেরি বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, “অর্থনৈতিক অস্থিরতা, ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, কৌশলগত সংস্কার এবং প্রযুক্তিতে ব্যাঘাতের দ্রুত গতি সহ ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জগুলির সাথে লড়তে থাকা শিল্পখাতের একটি গুরুতর চিত্র তুলে ধরা হয়েছে এই পরিসংখ্যান গুলোতে।”
কনফেডারেশন অফ ব্রিটিশ ইন্ডাস্ট্রি (সিবিআই)-র বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা একটি জরিপে দেখা গেছে, ২০২৪ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে যুক্তরাজ্যের আর্থিক সংস্থাগুলোর ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে আশাবাদ দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে হ্রাস পেয়েছে।
জরিপের উত্তরদাতারা ব্রিটেনের শরৎকালীন বাজেটের সঙ্গে সম্পর্কিত বর্ধিত ব্যয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু অ্যাস্টবেরি বলছেন, অর্থমন্ত্রী র্যাচেল রিভস জনসাধারণের ব্যয় সমর্থন করার জন্য কর বৃদ্ধির ঘোষণা করার “অনেক আগেই” নিয়োগের ধীরগতি শুরু হয়েছিল।
স্টক মার্কেট তালিকাভুক্তির ভেন্যু হিসাবে লন্ডনের আবেদন কমতে থাকাকে একটি মূল কারণ হিসাবে মনে করেন অ্যাস্টবেরি।
তিনি বলেছেন, “সরকার যদি প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর ব্যাপারটি গুরুত্ব দিয়ে দেখে, তাহলে লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের মান পুনরুদ্ধার করা এবং মূলধনের পতন রোধ করাকে জরুরি অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।”
সূত্রঃ ডয়েচেভেলে / রয়টার্স
এম.কে
১৩ জানুয়ারি ২০২৫