22.3 C
London
August 10, 2025
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

লন্ডনে ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ সমর্থনে বিক্ষোভ, গ্রেফতার ৪৬৬

লন্ডনে ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ নামের সংগঠনকে সমর্থন জানাতে হওয়া এক বিক্ষোভে পুলিশ ব্যাপক গ্রেফতার অভিযান চালিয়েছে। গত মাসে ব্রিটিশ সরকার সংগঠনটিকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করার পর এটি প্রথম বড় আকারের গ্রেফতারের ঘটনা।

মেট্রোপলিটন পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার (৯ আগস্ট) স্থানীয় সময় রাত ৯টার মধ্যে ওয়েস্টমিনস্টারের পার্লামেন্ট স্কয়ার থেকে মোট ৪৬৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (পূর্বে টুইটার) পুলিশ জানায়, প্যালেস্টাইন অ্যাকশনকে সমর্থন জানানোর অভিযোগে এ গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে এক সতর্কবার্তায় পুলিশ জানিয়েছিল, সংগঠনটিকে সমর্থনকারী যেকোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হবে।

বিক্ষোভস্থল থেকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ স্কয়ারের ওপর বসে থাকা বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে নিচ্ছে। বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল ‘আমি গণহত্যার বিরোধিতা করি, আমি প্যালেস্টাইন অ্যাকশনকে সমর্থন করি’ লেখা প্ল্যাকার্ড। অনেককে ফিলিস্তিনি পতাকার নকশার সাদা-কালো স্কার্ফ পরা অবস্থায় দেখা গেছে। তারা ‘আপনাদের লজ্জা পাওয়া উচিত’, ‘গাজা থেকে হাত গুটাও’—এ ধরনের স্লোগান দিচ্ছিলেন।

‘ডিফেন্ড আওয়ার জুরিস’ নামের একটি অ্যাডভোকেসি গ্রুপ এই বিক্ষোভের আয়োজন করে। এক্সে প্রকাশিত বিবৃতিতে তারা জানায়, মানুষ গাজায় চলমান গণহত্যা ও প্যালেস্টাইন অ্যাকশন নিষিদ্ধের প্রতিবাদে সমবেত হয়েছে। এটি সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে জনমতের বহিঃপ্রকাশ।

সমালোচকরা বলছেন, প্যালেস্টাইন অ্যাকশনের ওপর নিষেধাজ্ঞা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অধিকারকে খর্ব করছে। তারা অভিযোগ করেন, ইসরায়েলের গাজায় সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দমিয়ে রাখার জন্যই এই আইন ব্যবহার করা হচ্ছে।

২০০০ সালের সন্ত্রাসবাদ আইন অনুযায়ী, প্যালেস্টাইন অ্যাকশনের সদস্যপদ গ্রহণ করা বা প্রকাশ্যে সমর্থন জানানো এখন অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এর সর্বোচ্চ শাস্তি ১৪ বছরের কারাদণ্ড। ফলে এই আইনের আওতায় গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের জন্য শাস্তি হতে পারে অত্যন্ত কঠোর।

বিক্ষোভকারী প্যাডি ফ্রেন্ড আল জাজিরাকে বলেন, পুলিশের এই পদক্ষেপ যুক্তরাজ্যে নাগরিক স্বাধীনতার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। “যদি আমরা মাত্র সাতটি শব্দ লেখা একটি সাইনবোর্ড নিয়ে চুপচাপ বসে থাকতে না পারি, তবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার মানেটা কী?”—তিনি প্রশ্ন তোলেন। আরেক অংশগ্রহণকারী দাদী মানজি ম্যানসফিল্ড আগের এক সমাবেশে গ্রেফতার হওয়া সত্ত্বেও আবারও প্রতিবাদে অংশ নেন। তিনি বলেন, “এটা সেই ব্রিটেন নয় যেখানে আমি বড় হয়েছি।”

সূত্রঃ রয়টার্স

এম.কে
১০ আগস্ট ২০২৫

আরো পড়ুন

যুক্তরাজ্যের সকল বিমানবন্দরে উচ্চ প্রযুক্তির স্ক্যানার বসানোর নির্দেশ

যুক্তরাজ্য এয়ারলাইন্স কোম্পানির অব্যবস্থাপনায় গ্রাহকেরা বিব্রত

যুক্তরাজ্যে ই-স্কুটার চলবে ‘মোটরবাইকের নিয়মে’: আইন না মানলে কঠোর শাস্তির ইঙ্গিত