যুক্তরাজ্যে জানুয়ারি থেকে নতুন সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের চুক্তির কারণে তাজা মাছ এবং সীফুডের রপ্তানি মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। মৎস্য ব্যবসায়ীরা ব্রেক্সিটের পরে যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তা তুলে ধরতে বিক্ষোভ করছেন।
রবিবার (১৭ জানুয়ারি) পররাষ্ট্রসচিব ডমিনিক র্যাব বলেন, রপ্তানিকারকদের প্রাথমিক সমস্যা সমাধানে মন্ত্রীরা কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্থ সংস্থাগুলোর ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
‘ডার্টমাউথ ক্র্যাব’ সংস্থার ব্যবস্থাপক মার্ক মুর বলেন, আমাদের ব্যবসায় এবং অন্যান্যদের নতুন সীমান্ত চেকের কারণে প্রতিবাদ করছি। তিনি বিবিসিকে বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নে পণ্য সরবরাহের সময় তার সংস্থা সাড়ে আট ঘন্টা পর্যন্ত বিলম্বের মুখোমুখি হয়েছিল। তিনি আরও যোগ করেন, আমাদের পণ্য গ্রাহকদের কাছে সময় মতন পৌঁছানো অনেক জরুরি। নাহলে পণ্যগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
লন্ডনে প্রতিবাদ করেন মৎস্য রপ্তানিকারকরা। ২৪টি লরি নিয়ে এই প্রতিবাদে অংশ নেন তারা। যদিও তাদের প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণ ছিল, তবে এটি স্পষ্ট যে তারা সবাই অনুভব করে সরকারকে এখন সরাসরি পদক্ষেপ নিতে হবে এই ব্যাপারে। তারা মনে করছেন এই শিল্প এখন ঝুঁকির মুখে। হাজার হাজার মানুষের জীবিকা বন্ধ হয়ে যেতে পারে এর ফলে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে চলে যাওয়ার পরে যুক্তরাজ্যের রপ্তানিগুলোতে নতুন শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশেষ করে তাদের পণ্য সহ লরি সীমান্তে কাগজপত্র চেক করার সময় অনেক সময় ধরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তাতে সমস্যা তৈরি হচ্ছে তাদের।
বোরিস জনসন গত সপ্তাহে সংসদ সদস্যদের একটি কমিটিকে বলেন, বাধাদানের ফলে সমস্যার কারণে মৎস্য রপতানিকারক সংস্থাগুলো “সাময়িক ক্ষতির” ক্ষতিপূরণ পাবে।
সূত্র: বিবিসি
১৯ জানুয়ারি ২০২১
এসএফ