সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টির প্রতি সমর্থন জানিয়ে ১২০ জনেরও বেশি ব্যবসায়ী নেতা একটি খোলা চিঠি লিখেছেন।
শেফ টম কেরিজ এবং হিথ্রোর প্রাক্তন সিইও জেপি মরগান এবং অ্যাস্টন মার্টিন সহ সিনিয়র ব্যক্তিত্ব বলেছেন, লেবার পার্টি দেখিয়েছে তারা পরিবর্তিত হয়েছে এবং যুক্তরাজ্যের পূর্ণ অর্থনৈতিক সম্ভাবনা অর্জনের জন্য লেবার পার্টি ব্যবসায়ীদের সাথে কাজ করতে চায়।
তারা জানান, এই কারণে জনসাধারণের এখন লেবার পার্টিকে দেশ পরিবর্তন করার এবং ব্রিটেনকে ভবিষ্যতে উন্নতির দিকে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত।
জেরেমি কর্বিন লেবার পার্টির দায়িত্ব ছাড়ার পর লেবার নেতা স্যার কেয়ার স্টারমার এবং তার ছায়া চ্যান্সেলর রিচেল রিভস উভয়ই দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মন জয়লাভ করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়।
দ্য টাইমসে মুদ্রিত খোলা চিঠিতে ব্যবসায়ীরা বলেছেন যুক্তরাজ্যে দীর্ঘকাল ধরে অর্থনীতি অস্থিতিশীলতা, স্থবিরতা এবং দীর্ঘমেয়াদী ফোকাসের অভাব দ্বারা ঘেরা আছে।
তারা জানান, যুক্তরাজ্যের “বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী অর্থনীতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে”, তবে “রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অভাব এবং ধারাবাহিক অর্থনৈতিক কৌশলটির অনুপস্থিতির কারণে দেশ পিছিয়ে যাচ্ছে।
ব্যবসায়ী নেতারা আরও জানান, ” আমরা এমন একটি সরকারের সন্ধান করছি যারা দীর্ঘমেয়াদী প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য কাজ করে, আর্থিক শৃঙ্খলতা অর্জন করবে যাতে বেসরকারী খাতের সাথে সরকার মিলেমিশে কাজ করবে।”
লেবার পার্টির শ্যোডো বিজনেস মিনিস্টার জোনাথন রেনল্ডস স্কাই নিউজকে বলেন, “এটি একটি অসাধারণ উপলব্ধি। আমি মনে করি লেবার পার্টি তাদের পরিকল্পনায় সাফল্য নিয়ে এসেছে ব্যবসায়ী সমাজের খোলা চিঠি তারই একটি স্বীকৃতি।”
কনজারভেটিভ পার্টির ওয়ার্ক অ্যান্ড পেনশনস সেক্রেটারি মেল স্ট্রাইড স্কাই নিউজকে জানিয়েছেন, খোলা চিঠিতে সাক্ষরকারী ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে কোনও এফটিএসই নেতা নেই। তাছাড়া এরা সকলেই টোরি বিরোধী আওয়াজ দিয়ে নিজেদের লেবার শিবিরের সাথে অনেক আগে হতেই যুক্ত করেছেন।
উল্লেখ্য যে, ব্যবসায়ীদের লেবার পার্টির পক্ষে এইভাবে খোলা চিঠি সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নিজের অবস্থান ধরে রাখতে স্বাভাবিকভাবেই ব্যর্থ এরমাঝে ব্যবসায়ীদের এই চাপ আরো বিপদে ফেলবে কনজারভেটিভ দলকে।
সূত্রঃ স্কাই নিউজ
এম.কে
২৮ মে ২০২৪