গত সপ্তাহ শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান। মাস জুড়ে সিয়াম সাধনার পাশাপাশি ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের মাঝে বেড়েছে জনকল্যাণমুখী কাজ। দান,সাদকাহের এ সময়ে ইসলামী অনুদান ও জাকাতের অর্থের বড় একটি অংশ জমা হয় জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইইউএনএইচসিআর-এর তহবিলে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, এ তহবিলে সাম্প্রতিক সময়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ইসলামিক অনুদান জমা হয়েছে। ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো চালু করা হয় এই তহবিলটি। জাকাত একটি ইসলামী অনুশীলন, যা এই ধর্মের ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের একটি।
জাকাত আদায়ে প্রতি বছর নিজ সম্পদের একটি নির্দিষ্ট অংশ দরিদ্র আত্মীয়স্বজন এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে দান করেন ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা। রমজানে ধর্মীয় পূণ্যের আশায় জাকাতের অর্থ বিলিও বেড়ে যায়।
এই অনুদানের একটি বড় অংশ শরণার্থীদের কল্যাণে ইউএনএইচসিআর তহবিলে জমা দেন ইসলাম অনুসারীরা। ২৬টি দেশের শরণার্থী ও উদ্বাস্তুদের সহযোগিতায় এই তহবিলে জমা হয়েছে ১৮ কোটি ৫০ লাখ ইউরো।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, প্রথম রমজানের পরই ইউএনএইচসিআর জাকাত তহবিল বড় হয়েছে।
উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ বা জিসিসিভুক্ত দেশগুলোতে দায়িত্বরত ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি খালেদ খলিফা বলেন, “গত পাঁচ বছরে আমরা ৬০ লাখ মানুষকে জাকাত এবং সাদকাহ দিয়ে সহায়তা করতে পেরেছি।”
ইউএনএইচসিআর জাকাত তহবিলের অর্থ মূলত মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের, ইয়েমেনের অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতদের এবং লেবাননে আশ্রয় নেওয়া সিরীয় শরণার্থীদের জন্য ব্যয় করা হয়েছে।
খালেদ খলিফা বলেন, “আমরা শুধু ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সাহায্য করি না। এ সহযোগিতা সবার জন্য। সুবিধাভোগীদের ধর্ম দিয়ে দেখার কোনো সুযোগ নেই।”
তিনি আরও বলেন, “গত বছর আমরা শুধু রমজানেই ১৮.৪ মিলিয়ন ইউরো বা ১৮৪ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছি। এই বছর আমরা তা ছাড়িয়ে যেতে পারব বলে আশা করছি।”