সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সৈয়দ মুজতবা আলী হলে ঘটে গেছে এক হৃদয়বিদারক ও নৃশংস ঘটনা। হলে থাকা একটি ওয়াশরুম থেকে দুইটি বিড়ালছানার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের নির্মমভাবে জবাই করে হত্যা করা হয় বলে জানা যায়।
ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ও ছবি ইতোমধ্যে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে, যা দেখেই ক্ষোভ ও শোকের বিস্তার ঘটেছে দেশজুড়ে। কোনো প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য এখনো পাওয়া না গেলেও, ভিডিওর দৃশ্যগুলো থেকেই স্পষ্ট—এটি পরিকল্পিতভাবে করা একটি নিষ্ঠুর কাজ।
পোষা প্রাণীর প্রতি এমন অমানবিকতার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। অনেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
বাংলাদেশের প্রাণি অধিকার বিষয়ক সংগঠন “Animal Welfare Society of Bangladesh” এক বিবৃতিতে বলেছে, “এই ধরনের বর্বরতা কেবল প্রাণীর অধিকার লঙ্ঘন নয়, এটি অপরাধ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে দায়ীদের খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।”
একজন পশু অধিকারকর্মী ও সাংবাদিক ফেসবুকে লিখেছেন: “এই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও দেখতে গিয়ে শিউরে উঠেছি। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং সহানুভূতির অভাব ও আইন প্রয়োগের দুর্বলতার প্রতিচ্ছবি।”
বর্তমানে কে বা কারা এই নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তা এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে এমন একটি ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে—একটি জ্ঞান ও মানবিকতাভিত্তিক শিক্ষাঙ্গনে এমন অমানবিকতা কেন ঘটছে? কিভাবে এমন অপরাধকারীরা এতটা নির্ভয়ে এমন কাজ করতে পারল?
সূত্রঃ স্যোশাল মিডিয়া
এম.কে
১১ জুন ২০২৫