শীতের এই সময় ঠান্ডাজনিত সমস্যাগুলোই বেশি দেখা দেয়। যেমন- সর্দি,কাশি, গলা ব্যথা, নাক বন্ধ হওয়া, হালকা জ্বর, শরীর ব্যথা, কোল্ড অ্যালার্জির মতো কিছু সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এ ধরনের অসুখে সাধারণত চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না।
এ সময় সবচেয়ে বেশি দেখা দেয় ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো ভাইরাসজনিত রোগ। ফলে ঠান্ডার পাশাপাশি জ্বর, কাশি এমনিক তীব্র শ্বাসকষ্টও হতে পারে। ফুসফুসের পাশাপাশি দেখা দিতে পারে টনসিলের ব্যথা। আর্থ্রাইটিস বা বাতের ব্যথা, শীতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, ত্বক ফেটে যাওয়া এমনকি চর্মরোগও দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষদের কাশি ও কোল্ড অ্যালার্জির মতো সমস্যাগুলো সময়মতো সনাক্ত করা না গেলে তা নিউমোনিয়াতেও পৌছে যেতে পারে।
এদিকে, মশাবাহিত ডেঙ্গু,ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া সহ নানা ভাইরাস জ্বরের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এমন কোন উপসর্গ দেখা মাত্রই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
শীতকালীন রোগ থেকে দুরে থাকতে হলে যা করণীয়:
১. শীত শেষ না হওয়া পর্যন্ত হালকা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে হবে। ঠান্ডা পানি ও খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। বাইরের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
২. বয়স্ক ও শিশুদের গরম কাপড়ের পাশাপাশি হাতমোজা ও পা মোজা পরতে হবে। এমনকি বড়দেরও গরম কাপড় পরতে হবে।
৩. এলার্জির সমস্যা থেকে দুরে থাকতে লোশন, অলিভ অয়েল, গ্লিসারিন বা নারিকেল তেল ব্যবহার করতে হবে। তাছাড়া শরীরের শুষ্কভাব দুর করতে এগুলো সহায়ক হবে।
৪. সবসময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। যাদের অ্যালার্জি আছে তাদের জন্য এটি বাধ্যতামূলক।
৫. শীতের সময় প্রচুর পানির পাশাপাশি ভিটামিন সি যুক্ত ফলমুল খেতে হবে।
৬. ঘরের জানালা দরজা বন্ধ না রেখে পর্যাপ্ত বাতাশ চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।
৭. হাঁপানির মতো সমস্যা আছে এমন রোগীদের চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ইনহেলার বা প্রয়োজনীয় ওষুধ সঙ্গে রাখতে হবে।
৮. নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাগ করতে হবে।
৯. বড় ধরনের কোন সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।