3.2 C
London
January 31, 2025
TV3 BANGLA
বাংলাদেশ

শেখ পরিবারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের তদন্ত, যা জানা যাচ্ছে!

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাৎ করেছেন। এমন অভিযোগের তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বলা হচ্ছে, এই অর্থ মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন অফশোর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাচার করা হয়েছে। এসব অভিযোগ তদন্তে দুদকের পাঁচ সদস্যের একটি দল কাজ করছে।

দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটানোর জন্য রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়। তবে একে ঘিরে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ এবং অর্থ পাচার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

টিউলিপ সিদ্দিকের চাচা তারিক আহমেদ সিদ্দিক সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি, তার স্ত্রী এবং মেয়ে ‘প্রচ্ছায়া লিমিটেড’ নামে ভুয়া কোম্পানির মাধ্যমে ৯০ কোটি ডলার বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে যুক্তরাজ্যে পাচার করেছে। ব্রিটেনে জুমানা ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড প্রপার্টিজ লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি খুলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

যুক্তরাজ্য বিষয়টি তদন্ত করছে। যুক্তরাজ্য ও বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সংবাদপত্রের বরাতে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিক প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে দেখা করার পর থেকে মস্কোর সাথে বিচক্ষণ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন।

সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে অর্থ পাচারের অভিযোগ উঠে। দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে ৩০ কোটি ডলার বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন মার্কিন ব্যাংকে স্থানান্তরের প্রমাণ পাওয়ার কথা প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। হংকং এবং কেম্যান দ্বীপপুঞ্জের বিভিন্ন অফশোর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ও নিউইয়র্ক; সেই সঙ্গে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ পাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।

কমিশন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ, তার ছোট বোন শেখ রেহানা এবং রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ৮০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে নতুন তদন্ত শুরু করেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ নয়টি প্রকল্প থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকার কথিত দুর্নীতি হয়েছে।

বর্তমানে তদন্ত দল নির্বাচন কমিশন এবং পাসপোর্ট অধিদফতর থেকে সন্দেহভাজনদের পরিচয়পত্র সংগ্রহ করছে। সেই সঙ্গে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের অফশোর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত নথি সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে (বিএফআইইউ) বিশেষ অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এম.কে
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

আরো পড়ুন

বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ, ভারতে দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে

বাংলাদেশের রিজার্ভ কতটুকু বাড়লো নতুন সরকারের হাতে

সশস্ত্র বাহিনীর সব কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রদান