বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বীকার করেছেন যে গত বছরের ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান মোকাবিলায় নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে “ভুল নিঃসন্দেহে হয়েছিল।” দ্য হিন্দু পত্রিকাকে দেওয়া এক লিখিত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “মাঠ পর্যায়ে আমাদের নিরাপত্তা সদস্যরা দ্রুত পরিবর্তনশীল ও সহিংস পরিস্থিতির মোকাবিলা করছিলেন। সহিংসতার জবাব দিতে গিয়ে কিছু সদস্যের আচরণে নিঃসন্দেহে ভুল হয়েছিল, তবে জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত ছিল পরিস্থিতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, শুভ উদ্দেশ্যপ্রসূত এবং প্রাণহানি কমানোর লক্ষ্যে নেওয়া।”
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজধানী ঢাকা ত্যাগের পর এটি শেখ হাসিনার অন্যতম প্রথম প্রকাশ্য সাক্ষাৎকার। তিনি বলেন, “আমি সন্দিহান যে ফেব্রুয়ারি ২০২৬ সালে বাংলাদেশে ঘোষণা করা নির্বাচন সত্যিই অনুষ্ঠিত হবে কিনা। আর হলেও, সেটি বৈধ হিসেবে স্বীকৃতি পাবে না, কারণ আমার দল আওয়ামী লীগ এখনো নিষিদ্ধ।”
শেখ হাসিনা আরও জানান, তিনি তার সমর্থকদের নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানাননি, তবে সতর্ক করেছেন “আরও কোনো সহিংস অভ্যুত্থান যেন না ঘটে।” তার ভাষায়, দেশের ভবিষ্যৎ শান্তি ও গণতন্ত্র রক্ষায় সহিংসতার পরিবর্তে সংলাপ ও রাজনৈতিক সমঝোতাই হতে পারে একমাত্র পথ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শেখ হাসিনার এই স্বীকারোক্তি একদিকে তার সরকারের সময়ের বিতর্কিত দমননীতি নিয়ে দায় স্বীকারের ইঙ্গিত দেয়, অন্যদিকে আসন্ন নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে নতুন বিতর্কের জন্ম দিতে পারে।
সূত্রঃ দ্য হিন্দু
এম.কে

