নতুন গবেষণা অনুসারে একজোড়া চশমার মালিক হওয়া ব্যক্তি তাদের উপার্জনকে এক তৃতীয়াংশ বাড়িয়ে তুলতে পারে।
বাংলাদেশে পরিচালিত এই সমীক্ষায় জানা যায় গবেষকরা একদল লোকের মধ্যে জরিপ পরিচালিত করেন। গবেষকদের পরিচালিত জরিপে জানা যায়, মাসিক মাঝারি উপার্জনক্ষম লোক চোখের সমস্যা সমাধান করার পর আট মাসের মধ্যে ৩৫.৩০ ডলার থেকে ৪৭.১০ ডলারে তাদের উপার্জন উন্নীত করতে সক্ষম হন।
এই সপ্তাহে ৮২৪ জন ৩৫ বছরের বেশি বয়সী মানুষের উপর জরিপ কাজ পরিচালনা করে কুইনের বিশ্ববিদ্যালয় বেলফাস্ট, সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ ভিশনস্প্রিং এবং এনজিও ব্র্যাক। জরিপে জানা যায় ৩৫ বছর বয়সের পর হতে মানুষের চোখের জ্যোতি কমতে শুরু করে।
ক্লোজআপ ভিশন সংক্রান্ত বিষয়কে মেডিকেলের ভাষায় প্রেসবিওপিয়া বলা হয়। চোখের সমস্যা সমাধানের জন্য সারা বিশ্বব্যাপী প্রতি বছরে ২৫ বিলিয়ন ডলারের মতো ব্যয় হয় বলে জরিপে জানা যায়।
যেসব লোকেদের উপর গবেষণা পরিচালনা করা হয় তাদের চোখের সমস্যা সমাধান করে দেয়ার ফলে জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছিল বলে জানা যায়। কারণ চশমা ব্যবহারের ফলে প্রতিদিনের কাজ যেমন মোবাইল ফোন ব্যবহার ও রান্নার কাজ তাদের জন্য সহজ হয়।
কুইনস গ্লোবাল আই হেলথের চেয়ার এবং গবেষণার অন্যতম লেখক অধ্যাপক নাথান কংগডন জানান, “অনুসন্ধান হতে জানা যায় দারিদ্র্যতা হ্রাসে চশমা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যা চোখের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এক জোড়া চশমা মাত্র কয়েক ডলার ব্যয়ে পাওয়া যায়। চশমা কোনো ব্যক্তির উপার্জনের উপর একটি উল্লেখযোগ্য টেকসই প্রভাব ফেলে এবং কাজে ফিরে যেতে সহায়তা করে। ”
রিপোর্টের সহ-লেখক এবং ভিশনস্প্রিংয়ের প্রধান নির্বাহী এলা গুডউইন বলেন,” দক্ষিণ উগান্ডার মাতুগগা থেকে আসা ৫৭ বছর বয়সী সারা নাকালোভা বাঁশের ঝুড়ি তৈরি করতেন। যখন তিনি ছোট ছিলেন তিনি দিনে আড়াইটি ঝুড়ি তৈরি করতে পারতেন এবং মাসে ৮২ পাউন্ডের বেশি উপার্জন করতে সক্ষম ছিলেন। ৪০ বছর বয়স থেকে তার দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পাওয়ায় কাজের উৎপাদনশীলতাও হ্রাস পেয়েছে।”
সারা নাকালোভা জানান, চশমা একটি বিশাল পার্থক্য তৈরি করেছে। আমার কাজ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে আমি সুই দিয়ে ঝুড়ি সেলাই করতে অনেক সমস্যায় পরতাম। চশমা পাওয়ার পর এখন ঠিক আছে। আমি বাইবেল বা সংবাদপত্র পড়তে পারি। ”
উল্লেখ্য যে, বিশ্বজুড়ে বিশাল সংখ্যক লোক চোখের সমস্যায় ভুগছেন। যার কারণে ৩৫ বছরের বয়সের পর হতেই তাদের উপার্জন ক্ষমতা হ্রাস পায় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
০৬ এপ্রিল ২০২৪