সৌদি আরবে টানা ২০ দিন কোনো শিক্ষার্থী স্কুলে না গেলে তাদের অভিভাবকদের শাস্তির মুখে পড়তে হবে। এমনকি জেলও হতে পারে এইসব শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের। সৌদির এক দৈনিক পত্রিকার বরাতে এ তথ্য জানা গিয়েছে।
সৌদির মক্কা পত্রিকার তথ্যানুযায়ী, কোনো অজুহাত ছাড়াই ২০ দিন কোনো শিক্ষার্থী স্কুলে অনুপস্থিত থাকা দেশটির শিশু সুরক্ষা আইনের ব্যত্যয় ঘটায়। আর এমন ঘটনার জন্য সরকারি কৌঁসুলির তদন্তের মুখোমুখি হতে পারেন অভিভাবকেরা।
তদন্ত শেষে কৌঁসুলিরা বিষয়টি আদালতে পাঠাবেন। আর সেখানে স্কুলে অনুপস্থিতির জন্য অভিভাবকদের অবহেলা পাওয়া গেলে সাজার সম্মুখীন হবেন তারা। মানসম্মত পড়াশোনার জন্য নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকে এই ব্যবস্থাটি চালু করা হবে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
দৈনিক পত্রিকাটি বলছে, অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের তালিকা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা দপ্তরে পাঠাবেন ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল। এরপরেই তদন্ত করা হবে। পরে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা দপ্তর বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে।
স্কুলে শিক্ষার্থী না আসার কারণ জানতে তার সাক্ষাৎকার নেবে পারিবারিক পরিচর্যা বিভাগ। মামলাটি শুনানির জন্য আদালতে পাঠানোর আগে অভিভাবককে তদন্তের জন্য প্রসিকিউশনে পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি সৌদি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সংবাদমাধ্যম জানায়, দুই মাসের গ্রীষ্মের ছুটি শেষে চলতি সপ্তাহেই স্কুলে ফিরেছে সৌদির ৬০ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী। বার্ষিক তিন সেমিস্টারে সৌদির স্কুলগুলো পরিচালিত হয়। ৩৮ সপ্তাহেরও বেশি সময় স্কুলগুলোতে পাঠদান করা হয়। সব মিলিয়ে বছরে ১২৮ দিন ছুটি পায় শিক্ষার্থীরা।
এম.কে
২৭ আগস্ট ২০২৩