দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও সরকারের আর্থিক ক্ষতির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ১০টি দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের ৩৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীর তথ্য চাওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ থেকে তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। দুদক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ওই দেশগুলো হলো-যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সৌদি আরব, চীন, দুবাই, ইতালি, সুইজারল্যান্ড ও ফিলিপাইন।
দুদক এসব কর্মকর্তাদের পূর্ববর্তী কর্মস্থল, তারা যে শাখায় দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তাদের পদমর্যাদা সম্পর্কে তথ্য চেয়েছে।
ওই চিঠিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সৌদি আরব, চীন, দুবাই, ইতালি, সুইজারল্যান্ড ও ফিলিপাইনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত, চ্যান্সারি প্রধান বা প্রধান কনস্যুলার কর্মকর্তা, মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বাংলাদেশি দূতাবাস বা হাইকমিশনে কর্মরত অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চলছে।
এসব কর্মকর্তাদের বর্তমান কর্মস্থল, পদবি, স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দুদককে সরবরাহ করতে ওই চিঠিতে অনুরোধ জানানো হয়।
যুক্তরাজ্যে সাইদা মুনা দীর্ঘ ৬ বছর হতে হাইকমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। লন্ডনে বহুল আলোচিত সমালোচিত বাংলাদেশী কূটনীতিক সাইদা মুনা। অভিযোগ রয়েছে, এই মেয়াদে তিনি হাইকমিশনকে এক ধরনের পার্টি অফিসে পরিণত করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে সরকার বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে ২০১৮ সালের সাত ফেব্রুয়ারি লন্ডনে বিএনপির মিছিল থেকে বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় লন্ডনে হাইকমিশনের পক্ষ থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এ ঘটনার জের ধরে দেশে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন জেল খাটেন বিএনপির যুক্তরাজ্য কমিটির বহু নেতাকর্মী।
এম.কে
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪