12.6 C
London
August 2, 2025
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

সাদিক খানের ব্যর্থতায় লন্ডনে আবাসন কেলেঙ্কারিঃ অবৈধ HMO-তে মানবেতর জীবনযাপন

লন্ডনে নতুন এক আবাসন কেলেঙ্কারির খবর প্রকাশ পেয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে, ভিক্টোরিয়ান যুগের ছোট পরিবারের জন্য নির্মিত বাড়িগুলো অবৈধভাবে Homes of Multiple Occupancy (HMO)-তে রূপান্তরিত করে একেকটিতে ১৫ জন পর্যন্ত মানুষকে গাদাগাদি করে রাখা হচ্ছে। এসব বাড়ি অস্বাস্থ্যকর ও অগ্নি-ঝুঁকিপূর্ণ, কিন্তু তবুও অবাধে চলছে ভাড়ার কালোবাজার।

আইন অনুযায়ী HMO’র জন্য গ্যাস, বিদ্যুৎ ও অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে লাইসেন্স বাধ্যতামূলক। কিন্তু BBC’র অনুসন্ধানে দেখা গেছে, লন্ডনের অন্তত তিনটি এলাকায় বৈধ HMO’র চেয়ে অবৈধ HMO’র সংখ্যা বেশি। নিউহ্যামে যেখানে মাত্র ৭৫টি লাইসেন্সপ্রাপ্ত বাড়ি আছে, সেখানে সম্ভাব্য HMO’র সংখ্যা ৭০০-এর বেশি। টাওয়ার হ্যামলেটসে কাউন্সিলের তালিকায় ৫০টি থাকলেও প্রকৃত সংখ্যা প্রায় ৫০০।

২০২৩ সালে পূর্ব লন্ডনের এক অবৈধ HMO-তে আগুনে অন্তত একজনের মৃত্যু হয়, যেখানে মাত্র দুই বেডরুমের ফ্ল্যাটে ১৮ জন বসবাস করছিল। এই ঘটনার পরও বাড়িওয়ালা আমিনুর রহমান ও সোফিনা বেগমের জরিমানা মাত্র £৯০,০০০-এ সীমাবদ্ধ থাকে। ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ভাড়াটিয়াদের করা অভিযোগের এক-তৃতীয়াংশও পরিদর্শন করেনি সংশ্লিষ্ট কাউন্সিল।

সিটি হলের টোরি নেত্রী সুসান হল এই কেলেঙ্কারির জন্য সরাসরি মেয়র সাদিক খানকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, “লন্ডনের আবাসন সংকট, যা খানের ব্যর্থ গৃহনির্মাণ নীতির কারণে তীব্র হয়েছে, অবৈধ HMO’র সংখ্যা বাড়িয়ে তুলেছে। অসাধু বাড়িওয়ালারা এর সুযোগ নিচ্ছে। এটি ঘৃণ্য, দায়ীদের শাস্তি পেতে হবে।”

ন্যাশনাল হাউস বিল্ডিং কাউন্সিলের (NHBC) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে লন্ডনে মাত্র ৯০৪টি নতুন বাড়ির নিবন্ধন হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৬০% কম। দশ বছর আগে একই সময়ে এই সংখ্যা ছিল ৭,০০০।

বছরের প্রথম মাসে পুরো রাজধানীতে মাত্র ১,১০০ নতুন বাড়ির নির্মাণ শুরু হয়েছে, যেখানে মেয়রের লক্ষ্য প্রতি বছর ৮৮,০০০ বাড়ি নির্মাণ। আবাসন সংকটের মধ্যে অবৈধ HMO’র প্রসার লন্ডনের জন্য আরও বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সূত্রঃ দ্য এক্সপ্রেস

এম.কে
০১ আগস্ট ২০২৫

আরো পড়ুন

ইংল্যান্ডের স্কুলে দাঙ্গা

নিউজ ডেস্ক

সোশ্যাল হাউজিং 

নিউজ ডেস্ক

যুক্তরাজ্যে ফেসবুক পেইড ভেরিফিকেশন চালু