আজ গোপালগঞ্জে এনসিপির (ন্যাশনাল কনসেন্সাস পার্টি) একটি রাজনৈতিক সমাবেশে সশস্ত্র হামলার ঘটনায় সৃষ্টি হয় ব্যাপক বিশৃঙ্খলা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসন জারি করে ১৪৪ ধারা। সমাবেশস্থলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সেখান থেকে সরিয়ে নিতে হয় সামরিক বাহিনীর এপিসি (আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার) ব্যবহারের মাধ্যমে। এই দৃশ্য সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় এবং শুরু হয় ব্যাপক বিতর্ক।
বিশিষ্ট অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট জুলকারনাইন সায়ের নিজের ফেসবুক পেজে এই ঘটনার একটি ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন, “দেশের সাহসী ছেলেদের যেই অশুভ শক্তি গোপালগঞ্জের দিকে ঠেলে দিয়ে আজ সামরিক বাহিনীর এপিসির নিরাপত্তায় ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য করলো, ওই অশুভ শক্তিকে ধিক্কার।”
তার এই পোস্ট ঘিরে স্যোশাল মিডিয়ায় উঠে আসে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, ঢাকায় বসে সাহসী রাজনীতির বুলি কপচানো সহজ, কিন্তু মাঠের বাস্তবতায় এনসিপির নেতৃত্বের ভূমিকা কতটা কার্যকর? বিভিন্ন পোস্টে আরো অনেকে লিখেন, “এই বাংলার আনাচে-কানাচেতে যারা রাজনীতি করতে চায়, তারা সামান্য হুমকিতেই যদি সামরিক সুরক্ষায় পালিয়ে যায়, তবে জনগণের আস্থা পাবে কীভাবে?”
আরেকজন স্যাটায়ার করে লেখেন, “রাজনীতির মাঠকে ছোট করে শুধু ঢাকায় সীমাবদ্ধ রাখাই ভালো। না হলে এনসিপি ভাইয়েরা ভয় পাবে। দেশজুড়ে সাহস দেখানো সবার কাজ নয়।”
আজকের ঘটনা এনসিপির রাজনৈতিক সক্ষমতা ও গণসংযোগের বাস্তবিক দুর্বলতাকে সামনে নিয়ে এসেছে। অনেকেই বলছেন, যারা প্রশাসনের উপস্থিতি ছাড়া মাঠে টিকতে পারেন না, তারা কতটা কার্যকর বিরোধী শক্তি হতে পারেন তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
এদিকে, এনসিপির পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। তবে দলীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, তারা “সাংবিধানিক শান্তিপূর্ণ রাজনীতির” পথে আছে এবং এই হামলা গণতন্ত্রের ওপর আঘাত হিসেবে দেখছে।
দেশজুড়ে রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে গোপালগঞ্জের এ ঘটনাটি নতুন করে আলোচনা উসকে দিয়েছে। মাঠপর্যায়ে বাস্তবতা ও নেতৃত্বের সাহস কতটা গুরুত্বপূর্ণ—তা নিয়ে নতুন করে চিন্তা শুরু হয়েছে রাজনীতি সচেতন মহলে।
সূত্রঃ স্যোশাল মিডিয়া
এম.কে
১৬ জুলাই ২০২৫