TV3 BANGLA
বাংলাদেশ

সিলেটের প্রবাসীদের নতুন ভোগান্তি বিমানবন্দর উন্নয়ন ও নিরাপত্তা ফি


বিশেষ প্রতিনিধি: বিদেশে বসবাসরত প্রবাসীর সংখ্যা দেশের অন্যান্য বিভাগের তুলনায় সিলেট বিভাগে তুলনামূলক বেশিই বলা যায়। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, এ অঞ্চলের অধিকাংশ পরিবারেরই কোনো না কোনো সদস্য প্রবাসে থাকেন। সিলেটে এমনও গ্রাম রয়েছে যেখানে ৫০ শতাংশেরও বেশি মানুষ প্রবাসী। তাছাড়া প্রতিবছর ভিন্ন দেশ থেকে ট্যুরিস্টরা ঘুরতে আসেন সিলেটে। তাই সিলেট বিভাগের মানুষদের জন্য আকাশপথ খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।   

এবার সেই আকাশ পথে যাওয়া-আসার খরচ বেড়েছে। সরকারের ধার্য করা ‘বিমানবন্দর উন্নয়ন এবং নিরাপত্তা ফি’ নামে এই বাড়তি ভাড়া কার্যকর হতে যাচ্ছে রোববার (১৬ আগস্ট) থেকে। সেই হিসেবে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্ট থেকেও প্লেনযোগে যেকোনো স্থানে ভ্রমণ করতে হলে যাত্রীকে দিতে হবে নির্ধারিত ফি।

বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বলছে, সিলেটসহ দেশের যেকোনো বিমানবন্দর দিয়ে সার্কভুক্ত দেশগুলোতে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিমানবন্দর উন্নয়ন ফি পাঁচ ডলার এবং নিরাপত্তা ফি ছয় ডলার দিতে হবে। আবার দেশে ফিরে আসার ক্ষেত্রেও সমপরিমাণ অর্থ দিতে হবে।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এ ধরনের ফি নেওয়ার প্রচলন আছে বলে দাবি করেন মন্ত্রণালযয়ের সিনিয়র সচিব মহিবুল হক। তিনি বলেন, এই রিজিওনের ভেতরে আমরা সবচেয়ে বিলম্বে এটা কার্যকর করতে যাচ্ছি এবং সবচেয়ে কম অর্থ আমরা নিতে যাচ্ছি।

এদিকে বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোতে সেবার মান নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ এবং হতাশা লক্ষ্য করা যায় প্রতিনিয়ত। তাই সেবার মান উন্নয়ন না করে বাড়তি ফি ধার্য করার সমালোচনা করছেন সিলেটের অনেকেই।

লন্ডন প্রবাসী মৌলভীবাজার জেলার শমশেরনগর ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ইউকের সেক্রেটারি শিংরাউলি গ্রামের সৈয়দ শরফুদ্দিন রুমেল টিভিথ্রি বাংলার প্রতিনিধির কাছে এই বিষয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন,  প্রায় প্রতি বছর যারা লন্ডন থেকে দেশে আসেন সবাই মাতৃভুমির টানেই বারবার দেশে ফিরে আসেন। কিন্তু সরকার যখন বিভিন্ন নামে ফি যুক্ত করবে তাতে প্রবাসীরা দেশে আসতে বাঁধাগ্রস্ত হবে।

তার মতে, একটা পরিবারের ৮/১০ জন লোক একসাথে দেশে আসতে চাইলে প্রায় দশ হাজার টাকা খরচ বেশি হবে। এখন যেভাবে অর্থনৈতিক মন্দা সবদিকে চলছে তাতে দেশে আসতে চাইবে না মানুষ।

তিনি আরও বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমজীবী মানুষদের জন্য অতিরিক্ত টাকা পরিশোধ খুবই কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে। তাছাড়া বাংলাদেশে এমনিতেই বিদেশি পর্যটক অনেক কম আসেন, তাই বাড়তি এই ফি বিদেশি পর্যটকদের আরও নিরুৎসাহিত করতে পারে।

এই যুক্তি তুলে ধরা হলে তা সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেন বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মহিবুল হক। তিনি বলেন, সত্যিকার অর্থে যারা টুরিস্ট আসবে, এতটা ডিটেইলস কারো জানারও কথা নয়। বাংলাদেশ থেকে যদি একজন যাত্রী লন্ডনে যায়, তাহলে সেও জানে না বিমানের টিকিটের সাথে আর কী কী যুক্ত হয়। সেবার মান বৃদ্ধির সঙ্গে অর্থের যোগানও জরুরি বিষয়।



১৬ আগস্ট ২০২০
মোহায়মীন করিম চৌধুরী: বিশেষ প্রতিনিধি (টিভিথ্রি বাংলা)
এমকেসি/এনএইচটি

আরো পড়ুন

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি করা যাবে না

যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের এনআইডি আবেদন ৫ জুনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ

শেখ হাসিনা ভারতে থাকলেও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হবে নাঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা