বিশেষ প্রতিনিধি: সিলেট নগরীর নয়াসড়ক থেকে কুমারপাড়া এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে হযরত মানিক পীরের মাজারের অবস্থান। এই মাজারকে ঘিরে থাকা কবরস্থানটি মানিক পীর কবরস্থান নামে পরিচিত। সিলেট মহানগরীর মধ্যে এটি অন্যতম বৃহৎ কবরস্থান। সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মালিকানায় থাকা এই কবরস্থানে এখন সংস্কার কাজ চলছে।
সিসিক সূত্রে জানা যায়, মানিক পীর কবরস্থানে সিলেটের অনেক খ্যাতিমান ব্যক্তি ছাড়াও সাধারণ মানুষের কবর রয়েছে। প্রায় সবসময়ই এ কবরস্থানে মানুষের ভিড় লেগে থাকে। তাই পবিত্র এ স্থানটিকে সংস্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। সংস্কারের আওতায় কবরস্থান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা, হেলে পড়া গাছ কাটা ও ছাটাই, রঙ করে সৌন্দর্যবর্ধন, প্রভৃতি কাজ করা হচ্ছে। এছাড়া কবরস্থানে মাটিভরাট, মরদেহ গোসলখানা সংস্কার ও আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।
সংস্কার কাজ চললেও এ কবরস্থানকে ঘিরে এখনও বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা চোখে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দা ঝর্ণার পাড়ের কাপ্তান মিয়া টিভিথ্রিকে বলেন, ফটকের পাশে ভিক্ষাবৃত্তি করতে দেখা যায় অনেক নারী, পুরুষকে। কবরস্থানের পাশের রাস্তায় আছে ময়লা আবর্জনার স্তুপ। দুর্গন্ধের কারণে এই রাস্তায় হাঁটাচলা কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল বলেন, মানিক পীরের টিলায় প্রতিদিন অনেক লোকের দাফন হয়। এই জায়গাটার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা উচিত। অনেক সময় দেখা যায় কবরস্থানের পাশে গরু-ছাগল চরে বেড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, মানিক পীর কবরস্থানের পেছনের কিছু অংশ অনেকেই অবৈধভাবে দখলে নিয়েছিল, সেগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে। নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করা হবে অতিদ্রুত। অবৈধভাবে কেউ যাতে কবরস্থানের জায়গা দখল করতে না পারে তা নিশ্চিত করা হবে। কবরস্থানের জায়গা সম্প্রসারিত করা হবে যাতে করে মরদেহ কবর দেওয়ার সময় কোনো বেগ পোহাতে না হয়।
তিনি আরও বলেন, মরদেহ গোসলের জন্য নারীদের গোসলখানা ও পুরুষদের গোসলখানা আলাদাভাবে তৈরি করা হবে। আগামীতে মরদেহ সংরক্ষণের জন্য অত্যাধুনিক মরচুয়ারিও স্থাপন করা হবে।
২৪ আগস্ট ২০২০
এমকেসি/এনএইচটি