TV3 BANGLA
বাংলাদেশসিলেট

সিলেটের শিং মাছে নজর ভারতীয় চোরাকারবারিদের

সিলেট বিভাগ থেকে চোরাইপথে ভারতে পাচার হচ্ছে শিং মাছ। অধিক মুনাফার লোভে আর ভারতে ব্যাপক চাহিদার কারনে শিং মাছ এখন চোরাকারবারিদের প্রধান টার্গেট। সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে এই মাছ ভারতে পাঠানো হচ্ছে। শিং মাছের পাশাপাশি পাচারের তালিকায় আছে মাগুর, কৈ ও পাবদা মাছও।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিং মাছের ব্যাপক চাহিদা ভারতের বিভিন্ন এলাকায়। তাই চড়া মূল্যে বিক্রির প্রলোভনে স্থানীয় চোরাকারবারিরা এই পাচারে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এর ফলে সিলেটের হাটগুলোতে এসব মাছের সরবরাহ চরম সংকটের মুখে পড়েছে।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সিলেটের বিভিন্ন পুকুর থেকে সংগ্রহ করা শিং, মাগুর, কৈ ও পাবদা মাছ রাতের আঁধারে সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করা হচ্ছে। অধিক মুনাফার লোভে স্থানীয় বাজারে বিক্রি না করে এসব মাছ বিদেশে পাঠানো হচ্ছে।

সিলেটে শিং মাছের দাম কেজিপ্রতি ৭০০ থেকে ১,০০০ টাকা হলেও, ভারতে কেজিপ্রতি বিক্রি হয় ১,৫০০ থেকে ২,০০০ টাকা। কোথাও কোথাও আরো বেশি দামে বিক্রি হয়। প্রায় দ্বিগুণ মুনাফার এই লোভে ভারতীয় চোরাকারবারিরা বাংলাদেশ থেকে শিং মাছ নিয়ে যাচ্ছে।

দেশের বিভিন্ন সীমান্তে প্রতি মাসে শত শত কেজি শিং মাছ পাচারকালে জব্দ করা হয়। সীমান্তরক্ষীরা জানিয়েছে, এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং চোরাচালান রোধে আরও তৎপরতা বাড়ানো হবে।

সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ৪৮ বিজিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সুনামগঞ্জের বাংলাবাজার, সিলেটের তামাবিল, উৎমা, বিছনাকান্দি, প্রতাপপুর, সংগ্রাম ও ডিবিরহাওর সীমান্ত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে ভারত থেকে আনা বিপুল পরিমাণ পণ্য জব্দ করা হয়। এসময় বাংলাদেশ থেকে পাচারকালে আটক করা হয় শিং মাছ। জব্দকৃত মালামালের বাজারমূল্য ধরা হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সীমান্তে প্রায় প্রতিবারই দেখা যায়, ভারত থেকে আসে নানা পণ্য, কিন্তু বাংলাদেশ থেকে মূলত শিং মাছই পাচার হয়। অন্যান্য পণ্যও যায়, কিন্তু তা তুলনামূলক কম।

মৎস্যবিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের তুলনামূলক কম দামের শিং মাছ ভারতীয় বাজারে অনেক বেশি চাহিদাপূর্ণ। ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চল, পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের মানুষ শিং মাছকে পুষ্টিকর ও রোগী সুস্থ করার উপাদান হিসেবে দেখে। সেই কারণে পাচারকারীরা সীমান্তপথে শিং মাছ নিয়ে যেতে আগ্রহী।

৪৮ বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সীমান্তে চোরাচালান প্রতিরোধে অভিযান ও নজরদারি অব্যাহত থাকবে এবং জব্দকৃত মালামালের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সূত্রঃ সিলেট নিউজ

এম.কে
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আরো পড়ুন

সরাসরি সমুদ্রপথে বাণিজ্য সম্পর্কের ঐতিহাসিক যুগে বাংলাদেশ–পাকিস্তান, শঙ্কায় ভারত

সিলেট সিটিকে মাত্র দ্বিগুণ করা একটি ডিজাস্টার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

মানবাধিকার লঙ্ঘন: প্রয়োজনে ম্যান্ডেট দিয়ে পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত জাতিসংঘ