ইসরায়েলের ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে আজ পুরো বাংলাদেশের মতো সিলেট শহরে অনুষ্ঠিত হয় বিক্ষোভ কর্মসূচি। প্রথমদিকে আন্দোলন শান্তিপূর্ণ থাকলেও, হঠাৎ করেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আন্দোলনের আড়ালে সংঘটিত হয় সহিংসতা ও লুটপাট। হামলার শিকার হয় আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড বাটা, KFC সহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান।
বিশেষ করে জুতার আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড বাটা তাদের একটি শাখায় ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে তারা বলেন, “যারা আজ ভাংচুর আর লুটপাটে অংশ নিয়েছে, তারা ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি শোক প্রকাশ করতে এসে এমন কাজ করেনি। কোনো প্রকৃত ধর্মপ্রাণ মুসলমান লুটপাটের মতো ঘৃণ্য কাজে জড়াতে পারে না। তারা কেবলই লোভী, সুযোগসন্ধানী এবং চোর।”
বাটার বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “আজ যখন ঢাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট, যেখানে বহু বিদেশি অতিথি এসেছেন ভবিষ্যতে এই দেশে বিনিয়োগের সম্ভাবনা দেখতে—ঠিক তখনই এমনভাবে পরিকল্পিতভাবে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর হামলা ও লুটপাটের ঘটনা উদ্বেগজনক। বিশেষ করে চেক প্রজাতন্ত্রের বাটা, একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান, যার ওপর হামলা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য উদ্দেশ্যমূলক কিনা, তা খতিয়ে দেখা উচিত।”
বাটা বলেছে, “আমরা শুধু ক্ষতিগ্রস্ত নই, আমরা গভীরভাবে মর্মাহতও। বাংলাদেশ সবসময় ব্যবসাবান্ধব পরিবেশের জন্য পরিচিত ছিল। কিন্তু আজকের ঘটনায় আমরা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছি।”
ঘটনার পর ব্যবসায়ী মহল ও সাধারণ নাগরিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সুশীল সমাজ মনে করে, এই ঘটনা শুধুমাত্র আন্দোলনের পবিত্রতাকেই ক্ষুণ্ন করেনি, বরং আন্তর্জাতিক পরিসরে দেশের ভাবমূর্তিও চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।
বিষয়টি তদন্তের আওতায় এনে লুটপাটকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন বাটাসহ অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠন।
সূত্রঃ স্যোশাল মিডিয়া
এম.কে
০৮ এপ্রিল ২০২৫