অনেক চেষ্টার পরও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন সম্ভব হয়নি। এবার টেকসই নগর উন্নয়ন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় লন্ডনভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ইকো সলিউশনের সঙ্গে কাজ শুরু করছে সিসিক। এ লক্ষ্যে চুক্তিও সম্পাদন করা হয়েছে। চুক্তির আওতায় বর্জ্য সংগ্রহে আধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন এবং বর্জ্য থেকে পরিবেশবান্ধব উপায়ে শক্তি উৎপাদনের উদ্যোগ বাস্তবায়ন হবে।
গত বুধবার নগরভবনে এক অনুষ্ঠানে দুই পক্ষের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।
সিসিক’র পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা-ই রাফিন সরকার এবং ইকো সলিউশনের পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোমিন চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খান মো. রেজা-উন-নবী।
এ সময় তিনি বলেন, সিলেট মহানগরীর উন্নয়নে এ অঞ্চলের সন্তানদের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। আমি এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের সঙ্গে সিলেটের আত্মিক সম্পর্ক। ইকো সলিউশন এমন একটি সংস্থা, যার নেতৃত্বে রয়েছে সিলেট নগরীতে বেড়ে ওঠা তরুণরা। আমার বিশ্বাস, এই নগরীকে আধুনিক নগরী হিসাবে গড়ে তুলতে তারা নিজেদের অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ অবদান রাখবেন।
চুক্তি অনুযায়ী, ইকো সলিউশন প্রথমে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই এবং ২০২৬ সালের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিবে। এরপর Green Climate Fund (GCF) সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক তহবিল থেকে অর্থায়নের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
এ প্রসঙ্গে ইকো সলিউশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোমিন বলেন, আন্তর্জাতিক জলবায়ু ও পরিবেশ তহবিল থেকে প্রকল্প বাস্তবায়নের সুযোগ রয়েছে। ইকো সলিউশনের লক্ষ্য, সিলেটকে পরিবেশবান্ধব ও স্মার্ট নগরীতে রূপান্তরের মাধ্যমে সুযোগগুলোকে কাজে লাগানো। আমরা সিলেটকে দেশের একটি মডেল নগরী হিসাবে গড়তে চাই।”
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
এম.কে
১০ আগস্ট ২০২৫