0.1 C
London
January 4, 2025
TV3 BANGLA
বাংলাদেশ

সীমান্ত খুলে দিতে বাংলাদেশকে চাপ, বিরক্ত সরকার

নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষ কক্সবাজারের বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে আছে। তাদের ফিরিয়ে নিতে ২০১৭ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। কিন্তু এই সাত বছরে একজন লোকও নেয়নি দেশটি। উল্টো নতুন করে আরও কয়েক হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় আছে। তারা যেন এখানে ঢুকতে পারে, সে জন্য সীমান্ত খুলে দিতে বাংলাদেশকে চাপ দিচ্ছে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিকভাবে প্রভাবশালী কয়েকটি দেশ। বিদেশিদের এমন চাপে বিরক্ত সরকার।

সরকারের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সরকারের এই বিরক্তির কথা জানান। তিনি বলেন, আরও রোহিঙ্গা নিতে সরকারের অনীহার কথা কূটনৈতিক চ্যানেলে জাতিসংঘসহ সবাইকে বলা হয়েছে। তারপরও চাপ থামছে না।

মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশ ছাড়াও আরও চারটি দেশের সীমান্ত আছে। দেশগুলো হলো—ভারত, চীন, থাইল্যান্ড ও লাওস। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহলটি সীমান্ত খুলে দিতে কেবল বাংলাদেশকেই সুনির্দিষ্ট করে বলছে। অন্য দেশগুলোর নাম সরাসরি নেয় না তারা।

রাখাইন থেকে প্রায় ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে আসছে, এমন তথ্য দিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক নতুন করে রোহিঙ্গাদের ঢুকতে দিতে বলেছেন বাংলাদেশকে। তুর্কের দপ্তরের মুখপাত্র এলিজাবেথ থ্রসেল ২৪ মে জেনেভায় সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান। তুর্ক এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইনের দোহাই দিয়ে বলেন, বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সংহতি নিশ্চিত করতে হলে নতুন করে সম্প্রদায়টির আরও যারা আসতে চায়, তাদের নিতে হবে।

এর ঠিক আগের দিন ২৩ মে আরেকটু কড়া করে একই কথা এক্স-পোস্টে বলেন মিয়ানমারে মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ টম এন্ড্রুজ। তিনি বলেন, প্রাণ নিয়ে যারা পালাচ্ছে, তাদের জন্য বাংলাদেশকে সীমান্ত খুলতে হবে। আর বিশ্ব সম্প্রদায়কে তিনি বললেন রোহিঙ্গাদের জন্য জরুরি সাহায্য পাঠাতে।

মিয়ানমারের রাখাইনের সঙ্গে সীমান্ত থাকা অন্য কোনো দেশের নাম নেই জাতিসংঘের এই দুই কর্মকর্তার বিবৃতিতে।

ঢাকায় জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি সুম্বুল রিজভী দুই সপ্তাহ আগে সরকারের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে জানতে চান, কক্সবাজারে আশ্রয়শিবিরে যে রোহিঙ্গারা থাকে, তাদের স্বজনদের রাখাইন থেকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া যায় কি না।

সুম্বুল রিজভীকে জানানো হয়েছে, আশ্রয়শিবিরে থাকা রোহিঙ্গারা চাইলে যেকোনো সময় রাখাইনে যেতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার রাখাইন থেকে নতুন করে কাউকে আনুষ্ঠানিকভাবে আসতে দেওয়ার বিরুদ্ধে।

এম.কে
২৮ মে ২০২৪

আরো পড়ুন

বিদ্যুৎ বিল বকেয়াঃ একটি ইউনিট বন্ধ করে দিলো আদানি

উপদেষ্টা পুত্রের সাথে বরিশাল ঘুরে গেলেন আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মন্ত্রীর পুত্র

সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন গ্রেপ্তার