সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগদান সংক্রান্ত আলোচনা বাতিল করেছে তুরস্ক। অনির্দিষ্টকালের জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়। আগামী মাসে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টোলেনবার্গও এতে উপস্থিত থাকার কথা ছিলো।
এদিকে সুইডেনকে ছাড়াই ন্যাটোতে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে ফিনল্যান্ড। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেক্কা হাভিস্তো বলেছেন, এমন কিছু ঘটেছে কিনা; যা দীর্ঘমেয়াদে সুইডেনকে এগিয়ে যেতে বাধা দেবে- সেটি আমাদের পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
এর আগে সুইডেনে নিযুক্ত তুরস্কের দূতাবাসের কাছে কুরআন পোড়ানো ও বিক্ষোভের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে আঙ্কারা। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান বলেছেন, এ ঘটনার পর ন্যাটোর সদস্য পদের জন্য তুরস্কের সমর্থন আশা করা সুইডেনের উচিত হবে না। আপনারা যদি সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য ও ইসলামের শত্রুদের এতো ভালোবাসেন, তাহলে দেশের নিরাপত্তার জন্যও তাদের কাছেই সমর্থন চান।
এরদোগানের এমন মন্তব্যের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন সুইডিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী টোবিয়াস বিলস্ট্রম। পরে এক লিখিত বিবৃতিতে তিনি বলেন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ঠিক কী বলেছেন সেটা তিনি বুঝতে চান। তবে ন্যাটোর সদস্যপদ নিয়ে আঙ্কারার সঙ্গে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের মধ্যে বিদ্যমান চুক্তিকে সম্মান করবে স্টকহোম।
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর ২০২২ সালে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগদানের আবেদন করে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড; কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী, নতুন সদস্য গ্রহণের সিদ্ধান্তটি সর্বসম্মতভাবে নিতে হয়। অর্থাৎ বিদ্যমান সদস্যদের সবার সম্মতির ভিত্তিতেই কেবল ৩০ জাতির এ জোটে নতুন কোনো সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা যায়। সুতরাং ন্যাটোর সদস্য হতে ওই দুই দেশের তুরস্কের সম্মতি আদায়ের বিকল্প নেই। সূত্র: আল জাজিরা