২০২৩ সালে যুক্তরাজ্যে বাস করা মোটেও সুখকর নয় বলে গবেষকদের এক প্রতিবেদন জানা যায়। গবেষকদের দাবি সুখ খোঁজতে হলে যুক্তরাজ্যের চেয়ে উত্তর আটলান্টিকের একটি প্রত্যন্ত দ্বীপে চলে যাওয়া উত্তম।
কোভিড মহামারীর পর গ্রেট ব্রিটেন ও উত্তর আয়ারল্যান্ডে জীবনের সন্তুষ্টি, সুখ হ্রাস পেয়েছে এবং উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। যার অর্থ সামগ্রিকভাবে যুক্তরাজ্যের লোকেরা এখন চরম অসুখী।
জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের মতে, ইংল্যান্ডে ২০২১ সালের মার্চ থেকে ২০২২ সালের মার্চের মধ্যে সমস্ত সুখের উপাদানের চার্ট নিম্নমুখী। যুক্তরাজ্যের জরিপ দেখায়, ২০০৯ সাল থেকে সর্বনিম্ন স্তরে আছে যুবতী মহিলাদের সুখের উপাদানের চার্ট। তাছাড়া সর্বাধিক সুখী মানুষ স্যাটল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জে বাস করেন এবং ব্লাস্টারি স্কটিশ দ্বীপপুঞ্জ অর্কনি, ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জ এবং নরওয়ের মানুষেরা সুখের চার্ট অনুযায়ী উর্ধ্বমুখী।
অ্যাকশন ফর হ্যাপিনেস ক্যাম্পেইনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা রিচার্ড লেয়ার্ড বলেছেন, “ গবেষণার প্রতিবেদনটি নিশ্চিত করেছে যে শান্তির উপাদান সুখের সাথে সম্পর্কযুক্ত। তাছাড়া স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান এইসব বিষয় সুখের সাথে সম্পৃক্ত। যে পরিবারের আয় যথেষ্ট রয়েছে তাদেরকে সুখী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ”
সামগ্রিকভাবে, বার্ষিক সুস্থতা হার ইংল্যান্ডের পরিসংখ্যান অনুযায়ী উল্লেখযোগ্য পতন ঘটেছে। যুক্তরাজ্যের উদ্বেগের মাত্রা সামগ্রিকভাবে বেড়েছে এবং এক চতুর্থাংশেরও বেশি মহিলা পুরুষের চেয়ে বেশি উদ্বেগ আক্রান্ত বলে জানা যায়।
এম.কে
০৮ অক্টোবর ২০২৩